বাইরনের শপথের পরে মিষ্টিমুখ। সাগরদিঘিতে। নিজস্ব চিত্র
ভোটে জেতার তিন সপ্তাহ পরে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। মিনিট পাঁচেকের এই অনুষ্ঠানে সাগরদিঘি থেকে বাইরনের সঙ্গে ছিলেন যুব নেতা সাইদুর রহমান ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিত তিওয়ারি। ছিলেন দলের রাজ্যের নেতারাও।
শপথ নিতেই সাগরদিঘির কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল সাগরদিঘিতে। চলল মিষ্টি মুখ। এ দিন বিকেলে কাবিলপুর, গোবর্ধনডাঙা ও মোরগ্রামে কংগ্রেস সভা করেছে দলীয় কর্মীদের নিয়ে। সেখানেও ছিল উচ্ছ্বাসের ছবি।
বিধানসভায় শপথ গ্রহণের পরে বাইরন এ দিন কলকাতা থেকে জানান, ‘‘আমি বিরোধী দল কংগ্রেসের জয়ী সদস্য বলেই তিন সপ্তাহ দেরিতে শপথ নিতে হল। শাসক দলে যোগ দিলে হয়ত শপথ হয়ে যেত পরদিনই।’’ তিনি বলেন, ‘‘দু-এক দিনের মধ্যেই দিল্লি যাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ডাকে। ৩০ মার্চের মধ্যেই একটি সংবর্ধনা সভা হবে সাগরদিঘিতে। পরে রমজান মাসে সাগরদিঘির প্রতিটি অঞ্চলে ইফতারের আয়োজন করা হবে।’’
বাইরন জানান, দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে সেই ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হবে।বাইরনের দাবি, “আমাকে বাগে আনতে ভোটের সময় থেকেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা হয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলে থাকলে সে সব নিয়ে ভয় করলে তো চলবে না। একজন বিরোধী বিধায়ক হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব। সাগরদিঘির মানুষ যেন আমার উপর ভরসা রাখেন। তৃণমূলের এক নেতা টিভিতে বসেই ঠিক করে দিচ্ছেন কোন জামিন অযোগ্য ধারায় পুলিশের উচিত আমাকে গ্রেফতার করা। পরামর্শ দিচ্ছেন শপথ নিতে যাওয়ার পথেই গ্রেফতার করার। এটা দুঃখজনক।”
বিধানসভায় শপথ না নিতে পারায় এত দিন বিধায়ক হিসেবে কাজ করতে পারছিলেন না তাই নয়, বিধায়ক হিসেবে না পেয়েছেন কোনও সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী, না পেয়েছেন অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ভোট গণনা শেষ হয়।
কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, “সাগরদিঘির মানুষ আজ গর্বিত। সারা রাজ্যকে পথ দেখিয়েছেন তাঁরা। এক ঐতিহাসিক নজির গড়ে দিয়েছে সাগরদিঘি। সংখ্যালঘুরা তাঁদের উপর শাসক দলের অন্যায় ও অত্যাচারের বদলা নিয়েছে ব্যালটে। এ দিন আনন্দ উচ্ছ্বাসে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মিষ্টি মুখ করেছেন মহিলারাও।”