জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বড়ঞা থানার কামদেবাটি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল হামলা চালায়। ফলে তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। এই সমবায়ে সমিতিতে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ছ’জন প্রার্থীকে নিয়ে বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যান। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা পুলিশের সামনেই প্রতিমাদেবী ও প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হঠিয়ে দেয়। দুপুরে ফের কংগ্রেসের প্রার্থীরা গাড়িতে চেপে কান্দি-পানুটিয়া রাজ্য সড়ক ধরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের শ’খানেক সমর্থক রাস্তার ধারে ওই গাড়িটিকে আটকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপর কংগ্রেসকর্মীরা প্রতিমা রজকের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কান্দির সিআই হিরন্ময় হোড়। তারপর কংগ্রেস প্রার্থীরা পুলিশি প্রহরায় মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যাওয়ার পথে ফের তৃণমূল সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি-সহ প্রার্থীদের আটকায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, সেই সময় পুলিশ তাদের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। এই অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে তারা। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পেরিয়ে গেলে অবরোধ তোলে তৃণমূল। বড়ঞার বিডিও বাদশা ঘোষাল বলেন, “এ দিন সাত জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।”
বিধায়ক প্রতিমা রজক বলেন, “বড়ঞা থানার ওসির মদতে তৃণমূল আমাদের প্রার্থীদের মারধর করেছে। আমরা বার বার ওসি-র কাছে নিরাপত্তার দাবি করলেও তিনি তা আমল দেননি। তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীরা পুলিশের সামনে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতার করেনি।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ওসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে ঘটনার তদন্ত করা হবে।”
বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন শেখ বলেন, “কংগ্রেস প্রার্থীই জোগাড় করতে পারেনি। আমাদের লোকজন কাউকে মারেনি। বরং কংগ্রেস আমাদের কর্মীদের মেরেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ আমাদের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তাই অবরোধ করা হয়।”