—প্রতীকী চিত্র।
জেলা পরিষদের ৫২টি আসনে রবিবার প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট।
কংগ্রেসের তরফেও এ দিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জেলা পরিষদের ৫২টি আসনেই তারা লড়বে। আজ মঙ্গলবার তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবে। এই পরিস্থিতিতে নিচু তলার নেতা-কর্মীদের উপর আসন সমঝোতার বিষয়টি ছাড়া হয়েছে বলে উভয় দল জানালেও আসলে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই
সোমবার জেলা পরিষদের ৫২টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামফ্রন্ট। কালিগঞ্জ ব্লকের একটি আসনে আরএসপি, নাকাশিপাড়া ব্লকের একটি আসনে সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাকি আসনগুলিতে লড়বে সিপিএম।
দলের পরিচিত সৈনিকদের সামনে রেখেই জেলা পরিষদের আসনগুলিতে বামেরা লড়তে নামছে, তা স্পষ্ট প্রার্থী তালিকায়। তালিকায় অন্যতম বড় চমক প্রাক্তন বিধায়কের উপস্থিতি। রানাঘাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক অলক দাস রানাঘাট ১ ব্লকের একটি জেলা পরিষদের আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পাশাপাশি তেহট্টে দলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস, দলের আরেকটি এরিয়া কমিটির সম্পাদক সলিল কর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কৃষ্ণনগর এরিয়া কমিটির সদস্য প্রবীর মিত্র প্রার্থী হচ্ছেন জেলা পরিষদে।
তবে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তারুণ্যও গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রাক্তন ডিওয়াইএফ নেতা তথা দলের ফুলিয়া এরিয়া কমিটির সদস্য সুদীপ বিশ্বাস লড়ছেন জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সরস্বতী হালদার প্রার্থী হচ্ছেন শান্তিপুর ব্লকেরই জেলা পরিষদের একটি আসনে।
আগের দু’টি বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই লড়েছিল বামেরা। নদিয়ায় চারটি আসনে জয় পেয়েছিল বাম-কংগ্রেসের প্রার্থীরা। তবে ভোটে জেতার পরে বাম বিধায়ক ছাড়া বাকি তিন কংগ্রেস বিধায়কই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে।
বাম-কংগ্রেসের সমঝোতার সমীকরণে সম্প্রতি সাফল্য এসেছিল সাগরদিঘিতে। তবে সেখানেও কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে বাম কর্মীদের একাংশের বিরূপ মনোভাব ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে সরাসরি জোট না হলেও দুই দলের সূত্রেই জানা গিয়েছে, সমঝোতার বিষয়টি নিচুতলার নেতা-কর্মীদের হাতেই ছাড়া হয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সুমিত দে এ দিনও বলেন, "মনোনয়ন পর্ব চলছে। বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী শক্তির সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি দলের নিচুতলার উপরই ছাড়া হয়েছে। উভয়ের সাংগঠনিক শক্তি অনুযায়ী তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।"
আর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অসীম সাহা-র মন্তব্য, "জেলা পরিষদের আসন নিয়ে ওরা (বামেরা) আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। আমরাও সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিচ্ছি। আর বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যদি নিচু তলায় কর্মীরা আসন সমঝোতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান, ওঁদের উপরে ছাড়া হয়েছে।"