West Bengal Panchayat Election 2023

অধীরের জেলায় কংগ্রেস ও বিজেপির ‘আঁতাঁত’, জোট প্রার্থীর প্রচারের ব্যানারে ছয়লাপ কান্দি

মুর্শিদাবাদের কান্দি বিধানসভা এলাকায় আনুলিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের যশোহরী এলাকার ১১৬ নম্বর বুথে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের প্রতীক দিয়ে বেশ কিছু জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৭
Share:

পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই পদ্ম এবং হাতের প্রতীক-সহ দুই দলের প্রার্থীদের নামে ফেস্টুন-ব্যানার। নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় স্তরে ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্কে দুই দলের। রাজ্যেও প্রকাশ্যে বিরোধিতা দেখা যায়। কিন্তু পঞ্চায়েতের মতো নিচুস্তরের ভোটে দুই দলই ভুলে গেল সেই ‘ঘোষিত’ নীতি! তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে কার্যত জোট বেঁধে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই পদ্ম এবং হাতের প্রতীক-সহ দুই দলের প্রার্থীদের নামে দেওয়াল লিখন হয়েছে। গোটা এলাকা ছয়লাপ একই বয়ানের ফেস্টুন-ব্যানারে। ভোটের মুখে এমনই ছবি দেখা গেল খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদে। এই ‘গোপন আঁতাঁত’ প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের কান্দি বিধানসভা এলাকায় আনুলিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের যশোহরী এলাকার ১১৬ নম্বর বুথে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের প্রতীক দিয়ে বেশ কিছু জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়েছে। এমনকি, পোস্টারও লাগানো হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যানারে দুই দলের প্রার্থীদের ‘জোট প্রার্থী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী বাচ্চু রাজবংশী এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতি হাজরাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ওই পোস্টারে। পাশাপাশি, জেলা পরিষদের আসনে কংগ্রেস প্রার্থী মৌসুমী হালদারের নামেও ভোট চাওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে কংগ্রেসের নিজেদের প্রার্থী থাকলেও জেলা পরিষদের আসনে বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই। এমন পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক তৈরি হয় জেলার রাজনীতিতে। তড়িঘড়ি সেই পোস্টার খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে কংগ্রেস।

এ প্রসঙ্গে কান্দির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান বলেন, ‘‘নিজেদের ভোট নেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেসের নাম ব্যবহার করছে। অবিলম্বে পোস্টারগুলো খুলে ফেলতে এবং দেওয়াল মোছার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এর পিছনে বিজেপি রয়েছে। সফিউল বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের কাজ করলে এফআইআর করব।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, এই জোট সাধারণের মানুষের জোট! মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘এ রকম জোটের কথা জানি না। তবে স্থানীয় স্তরে সাধারণ মানুষ কোথাও জোটবদ্ধ হয়ে থাকলে প্রতীক কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। কেন্দ্রে তো কংগ্রেস তৃণমূলের জোট রয়েছে!’’

Advertisement

এই ঘটনায় কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই দলকেই কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল। কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বিজেপি, কংগ্রেস সব জায়গায় গোপন আঁতাঁত করে লড়ছে। সেটা এখানে প্রকাশ্যে চলে এল! এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement