ভোটের আগে কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের বেতন নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুরসভার সাফাইকর্মীরা বেশ কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে সাফাইকর্মীদের একাংশকে নিয়ে সোম ও মঙ্গলবার তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ সাফাইকর্মীরা কাজকর্ম শিকেয় তুলে রাস্তায় নামলেন।
আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সন্দীপ রায়। পুরপ্রধান শম্ভূনাথ ঘোষ অবশ্য এ ব্যাপারে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ আনছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনিক জটিলতায় ওই সাফাই কর্মীরা বেশ কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এত দিন তৃণমূল নেতারা কোথায় ছিলেন? ভোটের আগে ওরা স্রেফ রাজনীতি করছে।’’
কী সেই প্রশাসনিক জটিলতা?
পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন মেটানো হয় পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে। কিন্তু পুরসভার নিজস্ব তহবিলে ঘাটতি রয়েছে। এ ব্যাপারে পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কংগ্রেসের বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুর এলাকার মধ্যে অনেক সরাকরি কার্যালয় রয়েছে। সেগুলি ভবনের জন্য দীর্ঘদিন কর দিচ্ছে না। পুরসভার ওই খাতে বকেয়া করের পরিমান ৫৪ লক্ষ।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য খাত থেকে ওই কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য লালবাগের মহকুমা শাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়কে অনুরোধ করা হয়েছিল। দিন পনেরো আগে বেতনের জন্য মহকুমা শাসকের ট্রেজারিতে চেকও জমা দেওয়া হয়। কিন্তু মহকুমা শাসক অন্য খাত থেকে বেতন মেটানো হবে না বলে জানিয়েছেন। শম্ভূনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘একদিকে সরকারি দফতর ভবনের টাকা দিচ্ছে না। তাই পুরসভার ভাড়ারে ঘাটতি। অন্যদিকে অন্য খাত থেকেও ওই কর্মীদের বেতন দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। মহকুমা শাসকের গড়িমসিতেই বেতন আটকে রয়েছে। আর শাসকদল এই নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।’’
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘অন্য খাতের অর্থে বেতন দেওয়া যাবে না। তবে সরকারি কার্যালয়গুলির করের টাকা বকেয়া রয়েছে। তা দ্রুত মেটানো হবে।’’ প্রশাসন ও পুরসভার তরজা, ভোটের আগে রাজনীতির গরম হাওয়ার মধ্যে বেতন প্রাপ্তির আশা দেখছেন না সাফাইকর্মীরা।