প্রতীকী ছবি।
শান্তিপুরে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শিশুর মা, দিদা এবং সৎ বাবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হল শান্তিপুর থানায়। অভিযুক্তদের মধ্যে মৃত শিশুর সৎ বাবা প্রকাশ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে শান্তিপুর থানার হরিপুর পঞ্চায়েতের বেলতলাপাড়ার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের প্রীতম ঘোষের মৃত্যু হয়। তার গলার কাছে গভীর ক্ষত ছিল। প্রচুর রক্তপাতও হয়। সেই ঘটনায় শনিবার রাতে শান্তিপুর থানায় তাকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের কিশোরীগঞ্জের বাসিন্দা পীযূষ বক্সীর সঙ্গে বছর কয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল মনিকা মণ্ডলের। তাঁদেরই ছেলে প্রীতম। প্রীতমের জন্মের আগেই পীযূষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মনিকা। কয়েক মাস বাদে প্রীতমের জন্ম হয়। পীযূষের মৃত্যুর পরেও বছর দেড়েক মনিকা শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। তারপরে তিনি হরিপুরের বেলতলাপাড়ার বাসিন্দা প্রকাশ ঘোষকে বিয়ে করেন।
পীযূষের পরিবারের দাবি, মনিকা যখন অন্যত্র বিয়ে করেন, সেই সময় প্রীতমকে তারা নিজেদের কাছে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি মনিকা। শনিবার রাতে এই ঘটনায় মনিকার প্রথম পক্ষের স্বামী পীযূষের মা কল্পনা বক্সী শান্তিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন প্রকাশ ঘোষ, মনিকা ঘোষ-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। এ দিন রাতেই পুলিশ প্রকাশকে গ্রেফতার করে। পীযূষের পরিবারের দাবি, প্রীতমকে মেরে ফেলা হয়েছে। জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রকাশের পরিবারের সদস্যরা। প্রকাশ এবং মনিকা কেন যাননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মনিকা অবশ্য বলেন, “ছেলে খেলতে গিয়ে পড়ে যায়। সেই সময়ে কাঁচের টুকরো বিঁধে যায়। নিজের ছেলেকে কি কেউ মারতে পারে?” পীযূষের খুড়তুতো ভাই অমিতোষ বক্সী বলেন, “ওরাই বাচ্চাটাকে মেরে ফেলেছে। আমরা শাস্তি চাই।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।