চলছে মাটি ফেলা। নিজস্ব চিত্র
পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল ভগবানগোলার একটি ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে যান ভগবানগোলা ১ বিডিও পুলককান্তি মজুমদার। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি পুকুর ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘পুকুর ভরাটের খবর পাওয়া মাত্র কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুকুরের ওই জায়গা কিছুটা অংশ জেলা পরিষদের বাকিটা চাষযোগ্য জমি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারি আমিন দিয়ে জায়গা মাপার জন্য। কেউ যদি বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের চেষ্টা করে তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির মার্কেট কমপ্লেক্সের পিছনে প্রায় বিঘা পাঁচেকের একটি জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় পাঁচকাঠা জায়গা জুড়ে রয়েছে ওই পুকুরটি। ওই জায়গাটি ছিল ভগবানগোলার বাসিন্দা মদনমোহন দাসের। সম্প্রতি ওই জায়গা কিনে নিয়েছে ভগবানগোলার একটি ঠিকাদার গোষ্ঠী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জায়গা কেনার পরেই গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে এসে পুকুর ভরাট করতে শুরু করেছে ওই সংস্থা। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, মাটি ফেলে পুকুর ভরাট হচ্ছে। ওই পুকুরের আশপাশের বাসিন্দাদের নিকাশি জল ওই পুকুরে গিয়ে পড়ত। এ ছাড়াও বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরে মাটি ফেলার জন্য যেখান দিয়ে ট্রাক্টার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটা জেলা পরিষদের জায়গা এবং ওই জায়গাতেই রয়েছে ভগবানগোলা মার্কেট কমপ্লেক্সের শৌচাগার সোপট্যাঙ্ক। কাজেই ট্যাঙ্কের উপর দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার ফলে যে কোনও সময় তা ভেঙে নোংরা-আবর্জনা বেরিয়ে আসতে পারে। তার ফলে এলাকা দূষণের আশঙ্কা রয়েছে। ভগবানগোলার জেলা পরিষদের সদস্য জলি বেগম বলেন, ‘‘পুকুর ভরাটের জন্য ট্রাক্টর জেলা পরিষদের জায়গার ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই ওই জায়গা ঘিরে ফেলার ব্যবস্থা করেছি।’’