১৫১ ব্লকে কমিউনিটি হল

বিয়ে-শাদির সদ্ভাব মণ্ডপ

প্রশাসন সূত্রের খবর, নদিয়ায় ১০টি, মুর্শিদাবাদে ২৬টি, বীরভূমে ১৪টি, হাওড়ায় ৮টি, মালদহে ১২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি, উত্তর দিনাজপুরে ৮টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে জন্য ৬টি, জলপাইগুড়িতে ২টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২২টি, কোচবিহারে ৭টি ও দার্জিলিঙে ৭টি ব্লকে ‘সদ্ভাব মন্ডপ’ তৈরি করা হবে। সরকারি জমিতে ২২০০ বর্গফুট জুড়ে হবে দোতলা কমিউনিটি হল।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:৫১
Share:

Advertisement

ভাগ হচ্ছে পরিবার। কমছে বাড়িতে অনুষ্ঠান করার মতো জায়গা। অথচ বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলে নেই কমিউনিটি হল। বেসরকারি উদ্যোগে দু’একটা তৈরি হলেও তার খরচ সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাইরে।

রাজ্যের ১৫১টি ব্লকে তৈরি হতে চলেছে এমনই কমিউনিটি হল— ‘সদ্ভাব মন্ডপ’। বাসিন্দাদের অন্তত ২৫ শতাংশ মুসলিম এমন ব্লকই এর আওতায় আসছে। ‘মাল্টি সেক্টোরাল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর আওতায় এই হলগুলি গড়া হবে। তবে সকলেই এগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে ভাড়াও হবে অপেক্ষাকৃত কম।

Advertisement

দেশের যে সব ব্লকের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ সংখ্যালঘু, সেগুলিই কেন্দ্রের ‘মাইনরিটি কনসেনট্রেটেড ব্লক’-এর তালিকায় পড়ে। তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক নানা পরিকল্পনা নেয়। নানা রাজ্য থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এ রাজ্য থেকে গত অক্টোবরে ১৫১টি ব্লকের ‘সদ্ভাব মন্ডপ’ গড়ার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছিল। জানুয়ারিতে সেই প্রস্তাব অনুমোদন করে প্রথম পর্যায়ের টাকা পাঠানো হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নদিয়ায় ১০টি, মুর্শিদাবাদে ২৬টি, বীরভূমে ১৪টি, হাওড়ায় ৮টি, মালদহে ১২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি, উত্তর দিনাজপুরে ৮টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে জন্য ৬টি, জলপাইগুড়িতে ২টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২২টি, কোচবিহারে ৭টি ও দার্জিলিঙে ৭টি ব্লকে ‘সদ্ভাব মন্ডপ’ তৈরি করা হবে। সরকারি জমিতে ২২০০ বর্গফুট জুড়ে হবে দোতলা কমিউনিটি হল। হলঘরের পাশাপাশি থাকবে একাধিক ঘর এবং রান্না ঘর। খরচ ধার্য হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা।

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক থেকে যে সব ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হয় তার মধ্যে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অতিরিক্ত ক্লাসঘর, পানীয় জল বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও রয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের কমিশনার ওবাইদুর রহমান বলেন, “গ্রামীণ এলাকায় এক সঙ্গে অনেকে একত্রিত হয়ে কোনও সামাজিক বা সাংস্কৃতিক কাজকর্ম করবেন, এমন জায়গা নেই। আমরা সেই সুযোগটাই করে দিতে চাইছি। এতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আদানপ্রদান বাড়বে।”

নদিয়া জেলার চাপড়ায় লক্ষ্মীগাছা এলাকার সাহিদুল্লা মণ্ডল বলেন, “যদি সত্যিই সদ্ভাব মণ্ডপ সকলে ব্যবহার করতে পারেন, সেটা সত্যিই সুখবর।” জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “জমি পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement