নিজস্ব চিত্র।
কলেজে নিয়মিত ক্লাস এবং স্বাভাবিক পঠনপাঠনের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে অধ্যক্ষের কাছ থেকে ‘মেরুদণ্ড’ সোজা রাখার পাঠ নিয়ে ফিরতে হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের! নদিয়ার তেহট্ট গভর্নমেন্ট কলেজের এই ঘটনায় ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
বুধবার কলেজের অধ্যক্ষ শিবশঙ্কর পালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল টিএমসিপি। সেই মতো তিন ছাত্র অধ্যক্ষের ঘরে যান। সেখানে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সেটির সত্যতা অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। কথোপকথনের সময় অধ্যক্ষকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তোমরা আমাকে ঘেরাও করো। যাতে আমি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হই। একটা হইচই হোক। এ ভাবে কোনও কলেজ চলতে পারে না। চাকরি ১৫-২০ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। সেটা নিয়ে কেন কথা বলছো না? মেরুদণ্ড সোজা রেখে সরকারকে প্রশ্ন করো। যাঁরা মেধা তালিকায় উপরের দিকে, তাঁরা রাস্তায় বসে আছেন। কলেজ খুলে দিলেই হল না। শিক্ষক নেই, চেয়ার-টেবিল কি ক্লাস নেবে? টানা ১০ বছর ধরে কর্মবন্ধুরা মাসে ৩০০০ টাকায় ক্লাস নিচ্ছেন। কেন তাঁরা পড়াবেন? কলেজ খুললেই হয় না। পরিকাঠামোও তৈরি করতে হয়। সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছে। অথচ, জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করে বসে আছে।’’
ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের একটি কন্ঠ যে তাঁর নিজের, তা স্বীকার করে নিয়েছেন শিবশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘একান্ত ঘরোয়া আলাপচারিতায় স্নেহের ছাত্রদের সঙ্গে কয়েকটি মনের কথা শেয়ার করেছি। তাঁরা যে দুষ্টুমি করে সেই সব রেকর্ডিং করছে, বুঝতে পারিনি। এমনটা না হলেই ভাল হত।’’ ডেপুটেশন দিতে যাওয়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অমিত হালদার বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ যে রাজনৈতিক কথা বলবেন, তা আমরা আশা করিনি। আমরা শুধুমাত্র ক্লাস চেয়েছিলাম। উনি কী সব বললেন, মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।’’