সত্যজিতের আসনে মতুয়া মুখেই আস্থা

চার বছর পর ফের বিধানসভা উপনির্বাচনের অপেক্ষায় কৃষ্ণগঞ্জ। ২০১৫ সালে ওই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর মৃত্যুতে খালি হওয়া আসনে ফের মতুয়া মুখের উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

সত্যজিৎ বিশ্বাস।

চার বছর পর ফের বিধানসভা উপনির্বাচনের অপেক্ষায় কৃষ্ণগঞ্জ। ২০১৫ সালে ওই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর মৃত্যুতে খালি হওয়া আসনে ফের মতুয়া মুখের উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল।

Advertisement

কৃষ্ণগঞ্জে বড় সংখ্যায় বাস মতুয়াদের। দলীয় সূত্রের খবর, সে কথা মাথায় রেখেই বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে মতুয়া মহাসঙ্ঘের নদিয়া জেলা সভাপতি প্রমথরঞ্জন বিশ্বাসকে। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরে প্রমথ বলেন, ‘‘মতুয়া ভোট তৃণমূলের দিকেই আছে। মতুয়াদের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের যে কাজ মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তা প্রচারে রাখব।’’

একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত কৃষ্ণগঞ্জে গত বিধানসভা ভোটেও বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন সত্যজিৎ। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সমগ্র অংশ এবং হাঁসখালি ব্লকের একাংশ নিয়ে গড়ে ওঠা কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় অবশ্য গত পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের কোন্দল সামনে এসেছে। ওই ভোটে একাধিক বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী হয়েও দাঁড়িয়ে পড়েন। ভোটের পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতিকে। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে ফের পদে ফেরানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৫ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে সেখানে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য তারা ফের নেমে যায় তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে বামেরা। এলাকার একটি পঞ্চায়েতে টসে জিতে বিজেপি সদস্য প্রধান হয়েছেন। বাকি পঞ্চায়েত অবশ্য তৃণমূলের দখলে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়েছিল কৃষ্ণগঞ্জ।

রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, সীমান্ত লাগোয়া এই বিধানসভায় মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। তাই সত্যজিতের পরে প্রমথরঞ্জনের উপরেই ভরসা রাখা হল। হাঁসখালি ব্লকের ময়ুরহাট ১ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা প্রমথরঞ্জন মোটামুটি শুরুর দিকেই তৃণমূলে যোগ দেন।

বেনালি দুর্গাচরণ হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত ওই প্রধানশিক্ষক ২০০৩ এবং ২০০৮ সালে জেলা পরিষদে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। ২০১৩ সালে আর ভোটে দাঁড়াননি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। একই সঙ্গে তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের হাঁসখালি ব্লকের একটি অংশের সভাপতি। আর তাঁর স্ত্রী ছিলেন ময়ূরহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রধান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement