উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
মাদক পাচার কমলেও হু হু করে বাড়ছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের পরিমাণ। এ বছর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত পথে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে ১৫৩ কিলোগ্রাম সোনা যা সর্বকালীন রেকর্ড বলে দাবি বিএসএফের। মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পথেই বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম সোনা। বিএসএফের হিসেবে তার বাজার দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা।মুর্শিদাবাদে সোনা পাচারের সীমান্ত রুট লালগোলার আটরশিয়া ও জঙ্গিপুরের বাহুরা ঘাট।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গত এক বছরের সাফল্যের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে। মুর্শিদাবাদ সহ তিনটি জেলা রয়েছে এই ফ্রন্টিয়ারের মধ্যে। রয়েছে মালদার উত্তরের কিছু অংশও।
প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএসএফ তাদের কাজের পর্যালোচনা করে সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ করেন। এবারেও বিএসএফের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একে আর্য্য জানান, বেষ্টণীবিহীন ৬০টিরও বেশি গ্রাম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত, যা অবৈধ অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়। নতুন প্রযুক্তির ইলেক্ট্রনিক সার্ভিল্যান্স ফর ভালনারেবল প্যাচ প্রকল্পের অধীনে, বেড়া এবং উপকূলীয় এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা, পিটিজ়েড ক্যামেরা, ড্রোন দিয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
যার ফলে এ বছর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশও অনেকাংশে কমেছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার হল ইস্টার্ন কমান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত, যা বাংলাদেশের সাথে রাজ্যের তিনটি জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদের ১২৫ কিলোমিটার সীমান্ত।
২০২৩ সালে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে ১৫৯৬ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২২০ বাংলাদেশি। রয়েছে ৪৬ জন দালাল ।
এ বছর বিএসএফ সব চেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে সোনার পাচার রোধে। ৯২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১৫৩ কিলো সোনা আটক করেছে।
আবার, ২০২১ সালের তুলনায় মাদক পাচার গত বছর ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এ বছর তা কমানো গিয়েছে অনেকটাই। এ বছর এ পর্যন্ত কাশির সিরাপ ধরা পড়েছে ১,২১,৭১১ বোতল।