ব্রিটিশ প্রতিনিধি বেলডাঙা পুরসভায়। নিজস্ব চিত্র
প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসকের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী খুঁজতে বেলডাঙা এলেন ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি। বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন বিমলেন্দু বিশ্বাস। লন্ডনের কিংলিয়র স্ট্রিটে তাঁর বিশাল বাড়ি যেন ভুত-বাংলো। রয়েছে আরও নানান সম্পত্তি। কিন্তু উত্তরাধিকারী কারা? তারই উত্তর যাচাই করতে এ দিন বেলডাঙায় আসেন ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি জর্জেস জিলারিও।
বিমলেন্দু বিশ্বাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস শেষ করে লন্ডনে যান উচ্চতর ডিগ্রির জন্য। পরে তিনি বেলডাঙা ফিরে স্বরুপা চৌধুরিকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার এক মাসের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। বিমলেন্দু লন্ডনে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকরি করতেন বলে জানিয়েছেন জর্জেস। সঙ্গে নিজের বাড়িতে প্র্যাকটিসও শুরু করেন। পসার ছিল ভালই। কিন্তু গত বছর তাঁর মৃত্যুর পরে স্ত্রী-সন্তান না থাকায় তাঁর সাত বোনকে উত্তরসূরি করে যান। তাঁদের খুঁজতেই জজের্স জেলারির বেলডাঙায় আসা। তিনি প্রথমে বেলডাঙা পুরসভা যান, স্বরূপা বিশ্বাসের খোঁজ করতে। খুঁটিনাটি সব তথ্য দিনভল সংগ্রহ করে তিনি বেলডাঙা পুরসভার পুরপ্রধান ভরত ঝাওরের সঙ্গে দেখা করেন। ভরত বলেন, ‘‘বিমলেন্দুর স্ত্রীর বিষয়ে নানান তথ্য জানতেই তাঁর বেলডাঙায় আসা।’’ বিমলেন্দু বিশ্বাসের বোন অনিমা বিশ্বাস মৃত। ছয় বোনের মধ্যে বেলডাঙার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনিমা বিশ্বাসের ছেলে তপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার মামা লন্ডনে মারা যান ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তিনি লন্ডনের সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। কিংলিয়র স্ট্রিটে নিজের বাড়িও রয়েছে। সেখানে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা করে তাঁর ভাল পসারও হয়। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর সম্পত্তি কিভাবে পরের প্রজন্ম পাবে সেই নিয়ে ব্রিটিশ সরকার নানা ভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’’
তারা আমাদের জানায় মোট সম্পত্তির ৬০ শতাংশ পাবে ব্রিটিশ সরকার। বাকি ৪০ শতাংশ পাবে আমাদের মায়ের ছয় বোন। আমাদের মেল করে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিরা জানায় ৪ ডিসেম্বর বেলডাঙা আসবেন ফ্রান্সের বাসিন্দা জজের্স জেলারিও। তিনি ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি বেলডাঙা আসেন। আমাদের নাম লেখা নথি নিয়ে তিনি সত্যতা বিচার করতে আসেন। আমরা তাকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছি। আমার মাসিরা কলকাতা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে আছেন। প্রত্যেকের কাছেই তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন।’’ তার সম্পত্তির পরিমান জানেন? তপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘না জানি না। তবে মোট সম্পত্তি ১৯ টা ভাগ হবে বলে শুনেছি। ব্রিটিশ সরকার বিদেশ থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে এর সত্যতা বিচার করছে। এটা দেখে খুব ভাল লাগছে।’’