প্রতীকী ছবি।
নিহত শান্তনু শীলের শ্বশুরবাড়িতে বোমা মারল দুষ্কৃতীরা। শান্তনু খুনের মামলা এখন কল্যাণী আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু কারা, কেন এই হামলা চালাল তা শুক্রবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।
বৃস্পতিবার গভীর রাতে চাকদহ শহরের ভবানীপুর এলাকায় শান্তনুর স্ত্রী সোমার দাদা নীলাদ্রি দাসের বাড়িতে বোমা পড়ে। বোমার আঘাতে জানালা এবং দু’টি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। গ্যারাজের টিনের ছাদ ফুটো হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই চাকদহ থানার টহলরত পুলিশ ওই বাড়িত যায়। এ দিন গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চাকদহের তৃণমূল বিধায়ক রত্না ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি।”
২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে চাকদহ শহরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে খোসবাস মহল্লায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করার মঞ্চেই গুলিতে খুন হন মোবাইলের কারবারি শান্তনু। ওই মামলায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তার মধ্যে চার জনই জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এই বোমাবাজির সম্পর্ক আছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
চাকদহ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরে বাড়ি শান্তনুর শ্যালক নীলাদ্রির। বাড়িতে আছেন বাবা-মা, স্ত্রী ও সাত বছরের মেয়ে। নীলাদ্রি কাজ করেন কম্পিঊটারের দোকানে। এ ছাড়া একটি গাড়িও রয়েছে, সেটির ব্যবসা করেন।
নীলাদ্রির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে বোমা পড়ে। বিকট শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়েও কাউকে দেখতে পাননি। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছরের বেশি ধরে এখানে গাড়ি থাকে। মাস তিনেক হল, গাড়ির শেড তৈরি করা হয়েছে। আমার এবং আমার এক বন্ধুর গাড়ি ছিল বাড়িতে। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” কিন্তু কেন এই হামলা তা তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না।
নীলাদ্রি বলেন, ‘‘আমরা সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা নেই। কেন বোমা ছোড়া হল, বুঝতে পারছি না। জামাইবাবুকে খুনের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। সেই কারণে আমাদের ভয় দেখাতেই এটা করা হল কি না বুঝতে পারছি না।” শান্তনু স্ত্রী সোমা শীলও বলেন, ‘‘কেন, কারা এই ঘটনা ঘটাল, মাথায় ঢুকছে না।’’
শান্তনু খুন হওয়ার পরেই নাম জড়িয়েছিল চাকদহের তৎকালীন পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তীর। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মন্ত্রী রত্না ঘোষ তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। রত্না বলেন, “ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সদস্যেরা আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশকে বলেছি, ব্যবস্থা নিতে।’’ তবে পুলিশের দাবি, বোমা নয়, জোরালো চকলেট বোমও ফাটানো হয়ে থাকতে পারে।