বোমা বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য চাকদহে। প্রতীকী ছবি।
পঞায়েত ভোটের আগে আবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তপ্ত হল নদিয়ার চাকদহ। বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা ব্যাগে কী আছে, দেখতে গিয়ে এক ব্যক্তির বাঁ হাতের তিনটে আঙুল উড়ে গেল! বুধবার দুপুরে নেতাজি বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। জখম ব্যক্তির নাম দিলীপ মণ্ডল (৪০)। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
চাকদহ থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে জানান রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান। তিনি বলেন, ‘‘এ রকম একটা ঘটনার খবর পেয়েছি। বোমা কী ভাবে কোথা থেকে এল, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চাকদহ থানার পুলিশ সব খতিয়ে দেখছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে বাড়ির উঠোনে হাঁস-মুরগির খাঁচার নীচে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন দিলীপ। কী আছে তাতে, তা দেখতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। বোমা বিস্ফোরণে তাঁর বাঁ হাতের তিনটি আঙুল উড়ে গিয়েছে বলে খবর দিলীপের পরিবার সূত্রে। দিলীপ বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। রাজমিস্ত্রির কাজ করি। কোথা থেকে এই বোমা এল, কী ভাবে এল, কিচ্ছু বলতে পারব না।’’
গত এক মাসে একাধিক জায়গায় বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। গত নভেম্বর মাসেই বীরভূমের বহড়াপুরে বোমা বিস্ফোরণে হাত-পা উড়ে গিয়েছিল এক ব্যক্তির। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি বিরোধীদের। একই ভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও বোমার ঘায়ে হাত উড়ে যায় তৃণমূলকর্মীর। সেই ঘটনাতেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্বই প্রকাশ্যে আসে। যদিও দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতেও বোমা ফেটে দুই শিশু জখম হয় সম্প্রতি। চাকদহের ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।