রেলসেতু দেখতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র।
নশিপুরের রেলসেতু দেখতে গিয়ে মুর্শিদাবাদে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ সভাপতিকে দেখানো হয় কালো পতাকা। অধীরের উদ্দেশে গো-ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হল নশিপুর রেলসেতুতে। যদিও বিজেপির বিক্ষোভকে পাত্তা দিতে নারাজ সাংসদ।
বুধবার, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এবং শিয়ালদহের ডিআরএমকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলেন সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-এর চেয়ারপার্সন অধীর। বেলডাঙ্গা, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ স্টেশন পরিদর্শনের পর তাঁরা পৌঁছন নশিপুর রেলব্রিজে। সেখানেই অধীরকে কালো পতাকা দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভের মুখে পাল্টা অধীরের নামে জয়ধ্বনি দেন উপস্থিত কংগ্রেসের নেতা, কর্মীরা। বিজেপির নেতা-কর্মীদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধন হবে রেলসেতু। তার আগে প্রচার পেতে পিএসি চেয়ারম্যান এখানে এসেছেন। নশিপুর রেলসেতু চালু হলে সেটা হবে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের কৃতিত্ব, এমন দাবিও করতে শোনা যায় বিক্ষোভরত বিজেপি নেতা-কর্মীদের। যদিও যাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ, সেই অধীর তাকে আমল দিতে নারাজ।
অধীর বলেন, ‘‘আমি এখানে এক জন সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির আওতায় রয়েছে পূর্ব রেল। কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ন’বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি নশিপুর ব্রিজের জন্য। এখানে রেল না চালিয়ে ছাড়ব না।’’
বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ দাবি করেন, সরকারি পদ ব্যবহার করে ভোটের আগে প্রচার সারতে এসেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন লড়াই, সংগ্রামের পথ ধরে আমরা যখন এই রেলপথে ট্রেন চালাতে সক্ষম হচ্ছি, ঠিক তার সাত দিন আগে অধীরবাবুর নাটক সাধারণ জনগণ মেনে নেয়নি। উনি সরকারি পয়সায় ভোট প্রচার করবেন, এটা জনতা মানবে না।’’