West Bengal By-Election 2024

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ‘তৃণমূলের দালাল’! বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি প্রার্থী, রানাঘাটের বুথে উত্তেজনা

রানাঘাট দক্ষিণের একটি বুথে গোলমালের অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস। অভিযোগ, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৮
Share:

রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস, বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।

বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস। বুধবার ওই কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলেছে ভোটগ্রহণ। তার মাঝেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর এসেছে। একটি বুথে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান মনোজ। তার পরেই জওয়ানের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খোদ বিজেপি প্রার্থীর মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমালোচনা শুনে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদলও। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে। যা মেনে নিতে পারছে না বিজেপি।

Advertisement

রানাঘাট দক্ষিণে গোলমালের সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত থেকেই। ওই কেন্দ্রের একাধিক এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভোটের আগের রাতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে ‘তৃণমূল আশ্রিত’ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, তাঁদের এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। এর পর বুধবার সকাল থেকে রানাঘাটের ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু দুপুর গড়াতেই অশান্তির খবর আসতে শুরু করে বিভিন্ন বুথ থেকে। মনোজ জানিয়েছেন, এজেন্টদের মারধর এবং ভোটার স্লিপ ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রার্থী হিসাবে ৯০/৯৩ বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।

অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ান ওই কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। বুথ থেকে বেরিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘প্রার্থী হিসেবে আমি সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। আমাকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানালে উনি উচ্চতর আধিকারিককে ফোন করেন। তার পর আর বাধা দেননি।’’

Advertisement

মনোজ আরও বলেন, ‘‘প্রশাসন, তৃণমূল, অপরাধীরা সকলে মিলে একজোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও সক্রিয় নয়, আবার কোথাও অতি সক্রিয়। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্বাধীনতা নেই। তারা বাংলার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত।’’

বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুকুটমণি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ জায়গাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের প্রভাবিতও করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যেখানে তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে, সেখানেই বিজেপির আপত্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি নিরপেক্ষ কাজ করে, তবে কি সেটা দালালি?’’

বুধবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। রানাঘাট ছাড়াও ভোট হয়েছে কলকাতার মানিকতলা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রানাঘাট দক্ষিণে ৬৫.৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement