প্রচারে বিমান, নিশানায় পুলিশ

পুলিশের একাংশ শাসক দলের তাঁবেদারি করছে বলে ফের সুর চড়ালেন করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণীর স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর মঞ্চের সামনে নির্বাচনী সভায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের একাংশ শাসক দলকে সমর্থন করছে। পুলিশের কাজ হল নিরপেক্ষ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৯
Share:

বিমান বসু। —নিজস্ব চিত্র

পুলিশের একাংশ শাসক দলের তাঁবেদারি করছে বলে ফের সুর চড়ালেন করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণীর স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর মঞ্চের সামনে নির্বাচনী সভায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের একাংশ শাসক দলকে সমর্থন করছে। পুলিশের কাজ হল নিরপেক্ষ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা। কিন্তু পুলিশের একাংশ তা করছে না।’’ এর পরেই তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হলে তার ফল ভাল হবে না। এমন আন্দোলন হবে যার মুখে পুলিশ দাঁড়াতে পারবে না।’’ তাঁর কথা, ‘‘এক মাঘে শীত যায় না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। তা হলে একদিন সেই আগুনে নিজেদেরও পুড়তে হবে।’’

Advertisement

এ দিনের ওই পথসভায় শাসক দলকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম পুরসভার মাধ্যমে উন্নয়ন হবে। কিন্তু এই সরকার পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাধ্যমে টাকা তছরুপ করছে। এই লুঠেরা সরকারের অবসান দরকার।’’ ‘‘এই আমলে সবই লুঠ হচ্ছে। জমি, সম্পত্তি, মেয়েদের সম্মান কিছুই বাদ নেই। আবার ভোটও লুঠ হচ্ছে।’’—মত তাঁর।

তিনি জানান, কলকাতার পুরসভার বিরোধী নেত্রী রূপা বাগচীকে তৃণমূল ভোট দিতে দেবে না বলেছিল। এটা স্বৈরতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বলেন, ‘‘কোচবিহার, দিনহাটা শিলিগুড়িতে ওরা বলে বেড়াচ্ছে এই পুরসভাগুলো ওরাই দখল করবে। গণতন্ত্রে এই ধরনের দাবি ভোটের আগে করা যায় না।’’ তারপর তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের শক্তির কাছে মুষ্টিমেয় শয়তান বদমাশরা বড় হতে পারে না। আপনারা শপথ নিন, নিজের ভোট নিজে দেবেন ও পড়শিদের বলুন নিজেদের ভোট নিজেদের দিতে।’’ পশ্চিমবঙ্গে বেকার সমস্যা নিয়েও তিনি সুর চড়ান। তাঁর কথায়, ‘‘কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সভ্যতাকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement