এলেন না মমতা। নিজস্ব চিত্র
আবহাওয়া খারাপ, মালদহ যাওয়ার পথে জরুরি ভিত্তিতে নামতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার— নদিয়ার হাঁসখালি এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও শমসেরগঞ্জে তাই বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিল প্রশাসন। তবে, হাওয়ার বেপথু গতি সত্ত্বেও জরুরি অবতরণ করতে হয়নি।
তবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছিল কৃষ্ণনগর, বহরমপুর এবং শমলেরগঞ্জে। বহরমপুর স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাড থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। নদিয়া মুর্শিদাবাদের (ডিআইজি) মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘আবহাওয়া খারাপের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বহরমপুরে নামতে পারে আমাদের এমনই জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে আবহাওয়া ভাল থাকায় সরাসরি নির্দিষ্ট গন্তব্য মালদহে পৌঁছিয়েছেন তিনি।’’জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিআইপিরা যে এলাকার উপর দিয়ে যান জরুরি অবস্থায় কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়। সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়। আবহাওয়া খারাপের কারণে বহরমপুরে জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামতে পারে বলে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে আগেই জানানো হয়েছিল। সে জন্য জেলা প্রশাসনও তৈরি ছিল। বহরমপুরে স্টেডিয়ামের সামনে থেকে গার্লস, প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে দড়ি ফেলা হয়। রাস্তার দু’ধারে দাঁড় করানো হয় পুলিশ কর্মীদেরও। দুপুরে ঘণ্টা দুয়েক রবীন্দ্রসদনের কাছ থেকে গার্লস কলেজ হয়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর একটা থেকে বহরমপুর স্টেডিয়ামে মুথ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার অপেক্ষায় ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা থেকে শুরু করে নদিয়া-মুর্শিদাবাদের ডিআইজি মুকেশ কুমার, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার অজিত সিংহযাদব। ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পরে তাঁরা জানতে পারেন আবহাওয়া ঠিক থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার মালদহে পৌঁছে গিয়েছে।