জেলার অন্য গঞ্জ-শহরের তুলনায় ডেঙ্গির ছায়া অনেক বেশি প্রসারিত বহরমপুর পুর এলাকায়। রবিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে পুর এলাকায় পতঙ্গ বাহিত রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এই উল্টো ছবিটাই বড় স্পষ্ট হয়ে উঠল পরিসংখ্যানের নিরিখে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের দেওয়া সেই পরিসংখ্যানের বহর দেখে আপত্তি তুলেছেন পুরকর্মীরা। তবে, সে আপত্তি ধোপে টেকেনি।
উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ মজুমদার এ দিন যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তাতে দেখা যাচ্ছে গত বছর, ২৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে শুধু বহরমপুর পুর এলাকা থেকেই। তুলনায় জেলার প্রান্তিক পুসভাগুলিতে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক কম। ধুলিয়ানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাকুল্যে ৭, ডোমকলে ২, মুর্শিদাবাদ, বেলডাঙা ও কান্দিতে মাত্র এক জন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। স্বাস্থ্য কর্তারা তাই সরাসরিই প্রশ্ন তুলছেন— দু’বছর ধরে প্রচার ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরেও এ অবস্থা কেন?
সভায় উপস্থিত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলেও মানুষ সচেতন হননি। জেলাশাসক পি উলাগানাথনও বলেন, ‘‘শহরে নোংরা থাকলে শুধু ডেঙ্গি নয়, বিভিন্ন পতঙ্গ বাহিত জীবাণু ঘটিত রোগ ছড়াতে পারে। কাউকে দোষ নয়, এখন থেকে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে টিমওয়ার্ক করে উদ্যোগী হতে হবে।’’
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে কোনও স্থায়ী কর্মী নেই, সমস্যা হচ্ছে সেখানেই।’’ তবে, পরিসংখ্যান বলছে, ন্যাশন্যাল আর্বান হেলথ মিশনের অধীনে দু’শো জন চুক্তিবদ্ধ কর্মী কাজ করেন, তা হলে? সদুত্তর মেলেনি!
বহরমপুর পুরসভার প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর নাড়ুগোপাল অধিকারী অবশ্য দাবি করেন, গত বছর পুরসভা এলাকায় মাত্র এক জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলেছিল, আর ২২ জন ডেঙ্গি রোগী বিভিন্ন সময়ে বাইরে থেকে রোগ নিয়ে বহরমপুরে এসেছিলেন।