প্রতীকী ছবি।
এক সময় এলাকায় ত্রাস ছিলেন বলেই জানাচ্ছেন পাড়া-পড়শি। সিপিএমের এক স্থানীয় নেতার ছায়ায় তাঁর বাড়-বৃদ্ধি। তবে রাজ্যে পালাবদলের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেই ছায়া থেকে সরে এসে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলে, এমনই দাবি করছেন শাসক দলের স্থানীয় এক নেতা। তৃণমূলের মিটিং-মিছিলে সব সময় তার উপস্থিতি সকলেই দেখেছেন। তবে, বছর কয়েক ধরে বদলেও গিয়েছিলেন তিনি। বরং মার-দাঙ্গা ছেড়ে আয়ের পথ খুঁজতে চাষবাস, জমির দালালির সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েছিলেন।
বিলকুমারীর বাসিন্দা, বছর সাতান্ন সেই ভোলানাথ দফাদারকে সোমবার ভোটের দিন বুথের সামনে গুলি করে মারল এক দল দুষ্কৃতী। তৃণমূলের অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সকলেই সিপিএম আশ্রিত। যদিও সিপিএম পাল্টা দাবি করেছে, নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের একাংশের হাতেই খুন হয়েছেন ভোলানাথ।
বিলকুমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬৯ নম্বর বুথে সকাল থেকেই দু’পক্ষের ভোটাররা ভিড় করেছিলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন জানাচ্ছেন, বেলা সাড়ে দশটা থেকে মোটামুটি আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল, তৃণমূল প্রার্থীর পাল্লা কিছুটা হালকা। তারপরই বুথে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ভোলানাথের দাদা মৌসিফ দফাদার বলছেন, ‘‘ভোট দিয়ে ফিরছিল ভোলানাথ। বুথ থেকে বেরিয়ে কিছুদূর চলেও এসেছিল। সেইসময় তাঁকে ধাওয়া করে আসে এক দল দুষ্কৃতী। তাদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। বৃষ্টির মতো বোমা ছুঁড়ছিল তারা। ভোলানাথ ছুটে আশপাশের কোনও বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। তার আগেই গুলি লাগে ওর বুকে।’’
বেলা বারোটার পর আর ভোট হয়নি। পুলিশ জানাচ্ছে, ভোলানাথের দেহ আপাতত নাকাশিপাড়া থানায় রয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা-র অভিযোগ, ‘‘গত দু’-তিন দিন ঘরে সিপিএম এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছে। ওরাই ভোলানাথকে খুন করেছে।’’ জবাবে স্থানীয় সিপিএম নেতা এসএম শাদির দাবি, ‘‘ওখানে প্রার্থীই দিতে পারেনি। তার পরেও আমাদের ঘাড়ে দোষ!’’