সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ইন্দিরা আবাস যোজনার তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করছেন বিডিও। এই অভিযোগ তুলে জলঙ্গির বিডিও-র উপর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল জনা কয়েক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, জলঙ্গির ব্লক তৃণমূল সভাপতি মুস্তাক আহমেদ ওরফে মিলন বুধবার তিন শাগরেদকে নিয়ে বিডিও অফিসে যান। তাঁদের দাবি, বিডিও সাধন দেবনাথ সিপিএম পরিচালিত স্থানীয় চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির তদন্ত ঠিকঠাক করছেন না। এ নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতারা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। সাধনবাবুর দাবি, ‘‘কথা কাটাকাটি চলাকালীন মিলন-সহ তৃণমূল নেতারা আচমকা আমার উপর চঢ়াও হন। আমাকে ‘পেপার ওয়েট’ ছুড়ে মারে শাসকদলের ওই নেতারা। ওঁরা আমাকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয়ও দেখায়।’’ ঘটনার পরপরই প্রহৃত বিডিওকে প্রথমে সাদিখাঁড়য়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ডোমকল হাসপাতালে। সাধনবাবু চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জলঙ্গি থানায় অস্ত্র দেখিয়ে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডোমকলের এসডিপিও অমরনাথ কে বলেন, ‘‘চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।’’ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিলনের দাবি, ‘‘নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাতেই বিডিও আমাদের গালাগাল করেছেন। আমরা তাঁর আচরণের প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কোনও মারধর করা হয়নি।’’
ঘটনার পর এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও ব্লকের কর্মীরা নিরাপত্তার দাবিতে জলঙ্গি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা প্রায়ই অফিসে গিয়ে দাদাগিরি দেখান। ফলে কাজ করতে সমস্যা হয়। এই ঘটনার নিন্দা করে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের তৃণমূল নেতারা মারছে। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ সমর্থন যোগ্য নয়। তবে ওই বিডিও-র বিরুদ্ধেও দুর্ণীতি ও খারাপ আচরণের প্রচুর আভিযোগ আছে। বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছি।’’