বিজেপি নেতার গাড়িতে হামলা।
দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত দত্তফুলিয়া বাজারে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। বিধায়কের দাবি, শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় একদল লোক। তিনি সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা বিজেপি বিধায়ককে নিগ্রহ করেন। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিতে গেলে আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরাও। বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই সিআইএসএফ জওয়ান চোট পেয়েছেন বলেও অভিযোগ। দলীয় সূত্রের খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিধায়ক এখন সুস্থ রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি বিধায়ক শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ নৌকারি এলাকায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে রানাঘাট দক্ষিণ পূর্বের দত্তফুলিয়া বাজার অতিক্রম করার সময় একটি শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। তখন বিধায়কের গাড়ি ও বিসর্জনের শোভাযাত্রা মুখোমুখি হয়ে যায়। অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ি দেখতে পেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া একটি ক্লাবের সদস্যেরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় বিধায়কের সঙ্গে গাড়ির মধ্যে থেকেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় ক্লাব সদস্যদের। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে গাড়ি থেকে নেমে এসে প্রতিবাদ শুরু করেন বিধায়ক। মুকুটমণির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর পোদ্দারের অনুগামীরা মত্ত অবস্থায় আমার উপর চড়াও হয়। পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা কার্যত আমার গাড়িকে আটকে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে প্রচ্ছন্ন মদত দেয়।’’
যদিও মুকুটমণির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক সমীর দাবি করেছেন, ‘‘প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিধায়ক। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছেন উনি নিজেই। তার উপর আক্রমণের অভিযোগ তৈরি করা গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘জনভিত্তি, পেশিশক্তি কোনওটাই আমাদের তৃণমূলের থেকে কম নয়। কিন্তু আমরা আইনে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এর উত্তর গণতান্ত্রিক পথেই দেব।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার এ নিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। ওই দিনই সারা জেলা জুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাকও দেওয়া হচ্ছে।