সংঘর্ষে আহতেরা। —নিজস্ব চিত্র।
দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল নদিয়ার নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজ চত্বর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তীব্র উত্তেজনা ওই কলেজে। দুই পক্ষের মারামারিতে তিন ছাত্রী-সহ মোট চার ছাত্রনেতা আহত হয়েছেন। আক্রান্তদের রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবারের ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
সংশ্লিষ্ট কলেজের একটি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দুই ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। গন্ডগোলের আগাম আশঙ্কা করে কলেজের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন অধ্যক্ষ। কলেজের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তারক্ষীদের। তার পরেও দুপুরের পর থেকে কলেজের বিবাদমান দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনার প্রশমন ঘটেনি। দুই পক্ষের সমর্থকেরা মারমুখী হয়ে একে অপরকে আক্রমণ করেন। প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক ছাত্রনেতাকে। কলেজের তিন ছাত্রী শ্লীলতাহানি এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন কলেজের দুই ছাত্র এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনা নিয়ে এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের সদস্য শুভ সাহা বলেন, “এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে মারা হয়েছে আমাদের সদস্যদের।’’ আহত এক ছাত্রীর অভিযোগ, উইকেট দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। নবদ্বীপ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে ঘটনায় আহত পড়ুয়াদের ছবি প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু দায়ী করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে। যার প্রেক্ষিতে তৃণাঙ্কুরের মন্তব্য, ‘‘বিজেপির সমর্থক এবং ছাত্রনেতারা কলেজে অশালীন আচরণ করেছেন। এর আগেও ওঁদের এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মঙ্গলবার কলেজে এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার চেষ্টা করেছিলেন এবিভিপির সদস্যেরা। তখন ওই ছাত্রীর বন্ধুবান্ধবেরা তাঁদের শিক্ষা দিয়েছেন।’’