— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বুধবার টিফিনের সময় থেকেই আন্তঃস্কুল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইসলামপুরের গোয়াস কালিকাপুর হাই স্কুলে। খেলার সময় ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক অনেকেই স্কুল থেকে বাড়ি চলে যান। এটা একটা অভ্যাস। আর সেই জন্যই স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, স্কুলের সমস্ত গেটে তালা লাগানো থাকবে ছুটির সময় পর্যন্ত। কিন্তু খেলার সময়ে বাড়ি চলে যেতে চান স্কুলেরই পার্শ্ব শিক্ষক জিয়াউল হক। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক শঙ্কর চন্দ্র দাস তাতে রাজি না হওয়ায় অফিসের আলমারির উপরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে প্রধান শিক্ষককের মাথায় আঘাত করে জিয়াউল। তাতেই গুরুতর জখম হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি শঙ্কর চন্দ্র দাস। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক পার্শ্ব শিক্ষক জিয়াউল। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
ঘটনার পর প্রধান শিক্ষককে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘‘খেলার সময় অনেকেই বেরিয়ে যান। আমি চেয়েছিলাম খেলার শেষ পর্যন্ত সকলেই স্কুলে থাকুক। সেই জন্যই গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউল বারবার এসে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে। আমি কিছুটা পরে যাওয়ার কথা বলতেই সে হাতুড়ি দিয়ে আক্রমণ করে আমাকে।’’
শিক্ষকদের দাবি, খেলাধুলো পঠন-পাঠনের একটা অংশ। স্কুলের সকলেরই ওই সময়ে নিয়ম অনুযায়ী থাকার কথা। কিন্তু ওই পার্শ্বশিক্ষক গাজোয়ারি করেই বাড়ি যেতে চাইছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে।