বেহাল পরিস্রুত জলের কল। নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছিল ব্লক প্রশাসন। মাসের পর মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে জলের পরিস্রুত পানীয় জলের সেই কল। এর ফলে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন
সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ, স্কুল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতর চত্বরেও তালাবন্ধ হয়ে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে পরিস্রুত পানীয় জলের কল। অথচ, হুঁশ নেই প্রশাসনের। শমসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের কলের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ এবং ২০২৩ বর্ষে শমসেরগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক লক্ষ টাকা করে খরচ করে সাত- আটটি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল কল তৈরি হয়। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির অধিকাংশই বর্তমানে বেহাল। ব্যবহার না হওয়ায় সেগুলি অচল হয়ে রয়েছে। অধিকাংশ কলই তালাবন্ধ। ভাষায় পাইকরে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের বাড়ির সামনে পরিস্রুত পানীয় জলের কল খারাপ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা শেরফুল শেখ, সানাউল শেখদের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কারও হুঁশ নেই। বিষয়টি নিয়ে শামসেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ইমাম শেখের দাবি, ‘‘লক্ষ লক্ষ টাকা সরকার লোক দেখানোর জন্য খরচ করেছে। কিন্তু কলগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তারা নেয়নি। ফলে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের স্বার্থে পরিস্রুত পানীয় জলের কলগুলি দ্রুত মেরামত করা উচিত। তারপর সেগুলি ব্যবহারের জন্য খুলে
দেওয়া হোক।’’
এ নিয়ে শমশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ বলেন, ‘‘বিডিও অফিসে পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু জলের ট্যাঙ্ক খারাপের বিষয়টি নজরে রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা ঠিক করা হবে।’ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের কল নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘খোঁজ
নিয়ে দেখছি।’’