ফাইল চিত্র।
পুর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে না বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসে এ দিন এ নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সতর্ক করে তিনি সবরকম লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন।
মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জ জেলা পরিষদের সভাগৃহে জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ানের দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন অর্জুন। দু’টি পুরসভার মধ্যে গত বিধানসভা ভোটে জঙ্গিপুরের পাঁচটি ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকলেও ধুলিয়ানে কোনও ওয়ার্ডেই তেমন ভাল করতে পারেনি বিজেপি। আজ, বুধবার বহরমপুরে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, কান্দি ও বেলডাঙা পুরসভার নির্বাচন নিয়ে সেখানকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অর্জুনের। সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ওই ৫টি পুরসভাতেই এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। স্বভাবতই পুর নির্বাচনে জেলায় এ বার ভাল ফলের আশা করছে বিজেপি। অর্জুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার। এই জেলায় এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত না হলেও আদালতে কমিশনের জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত পুরসভার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সাত পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে এ দিন থেকে দলীয় কর্মীদের প্রচারে নেমে পড়ার নির্দেশ দেন অর্জুন। এ দিন অর্জুন প্রতিটি পুরসভায় প্রার্থী বাছাইয়ে পরামর্শ দেওয়া ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৮ জনের কমিটি করতে জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে যান। তবে দলীয় সাংসদকে নিয়ে কর্মীদের মধ্যে তেমন বাড়তি উৎসাহ দেখা যায়নি।
এ দিন অর্জুন সাংবাদিকদের বলেন, “এ রাজ্যে পুরভোট রাজ্য সরকার ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করাবে না, এটা ধরে নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে হাজার হাজার পুলিশকর্মী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে বোমা পড়েছে, লোককে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, তা দেখেছেন রাজ্যের মানুষ।’’ তিনি জানান, মুর্শিদাবাদে পাঁচটি পুরসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। এ বার ফল আরও ভাল করার জন্যই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে থেকে প্রার্থী বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি। এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‘পিসি আর ভাইপো দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে তৃণমূল কর্মীরা।’’ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে অর্জুনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শান্তনু দেশের একটি সম্মানিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বোমা ফাটানো উচিত নয়। পুজো পাঠ করা লোক, পুজো পাঠ করলেই ভাল।’’