West Bengal Panchayat Election 2023

ভোটের দিন কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম, এনআরএসে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মীর

মৃতের নাম মইদুল শেখ। জঙ্গিপুর এলাকার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, শনিবার কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ ১৩:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, শনিবার কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। মৃতের নাম মইদুল শেখ। তিনি জঙ্গিপুর এলাকার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত মোট ৩০ দিনে মুর্শিদাবাদে সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে শনিবারই মৃত্যু হয় চার জনের। এর পর রবিবার রাতে রানিনগরের তৃণমূল কর্মী সিরাজুল শেখেরও মৃত্যু হয়। মইদুলের ঘটনা ধরে জেলায় ভোট-সন্ত্রাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম-কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। বচসা চলাকালীন দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে জোটের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, সেই ঘটনায় তাদের ন’জন কর্মী গুরুতর জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মইদুল এবং সাইদুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় মইদুলের। এখনও চিকিৎসাধীন সাইদুর। এনআরএস হাসপাতালে মইদুলের স্ত্রী ফতেমা বিবি বলেন, ‘‘আমার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। রাঁচীতে কাজ করেন। ভোট দিতেই এসেছিলেন। ৯ তারিখ ওঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।’’

রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখারুজ্জামান বলেন, ‘‘কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের উপরে নির্মম অত্যাচার চালায়। গুরুতর জখম মইদুল এবং সাইদুরকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মইদুলের মৃত্যু হয়েছে। সইদুরের অবস্থাও ভাল নয়।’’ এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভোট লুট করতে গিয়ে কিছু জায়গায় প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। যে ঘটনায় কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে ,তার ন্যূনতম দায় কংগ্রেসের নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement