IAS

Fake IAS: ফের ভুয়ো আধিকারিক! চাকরির প্রতিশ্রুতিতে নদিয়ায় ২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অভিযোগ, নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে শিক্ষিত বেকারদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক ব্যক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২১ ১৯:১১
Share:

নিজেকে আইএএস বলে পরিচয় দিলেও অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে ভুয়ো আধিকারিক বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

ফের নদিয়ার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকের পরিচয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভুয়ো সরকারি আধিকারিক দেবাঞ্জন দেবের টিকা-কাণ্ড নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে রাজ্যে। তার পর সামনে এল নদিয়ার আরও একটি ঘটনা।

Advertisement

নদিয়া জেলার কল্যাণীর বাসিন্দা অভিজিৎ রায়ের অভিযোগ, দিনের পর দিন নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে জেলার শিক্ষিত বেকারদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক ব্যক্তি। নিজেকে আইএএস বলে পরিচয় দিলেও অচিন্ত্য আসলে ভুয়ো আধিকারিক। ওই যুবকের দাবি, চাকরির পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন অচিন্ত্য। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগপত্র নেওয়া হয়নি বলেও দাবি অভিজিতের।

শনিবার কৃষ্ণনগর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অচিন্ত্যর বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বহু যুবক-যুবতীকে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি মাসেই নদিয়ার রাধারানি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পর ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নদিয়ায়। গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিষয়টি তাঁকে জানানোর পর শনিবার কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ ওই যুবকের অভিযোগপত্র জমা নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জগন্নাথ। তাঁর দাবি, ‘‘ওই অফিসার ভুয়ো। তাঁর কাজকর্মও ভুয়ো। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছে। দেখা যাবে যে এর সঙ্গে শাসকদলের যোগাযোগ রয়েছে।’’ জগন্নাথের আরও দাবি, ‘‘এ রকম বহু আইএএস দিয়ে অতীতে ভোট করিয়েছে তৃণমূল সরকার। ওই যুবককে প্রতারণা করার যাবতীয় প্রমাণাদি কৃষ্ণনগর থানায় দেখানো হয়েছে। এমনকি, ওই আইএএস অফিসারের ড্রাইভারের স্বীকারোক্তিও রয়েছে। দুর্নীতি করার জন্য ভুয়ো সরকারি আধিকারিকদের পুষে রেখেছে এ রাজ্যের সরকার। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, বাংলার মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছে। কুশাসনের ফলে সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত। খুঁজলে বহু সরকারি বিভাগেই এ রকম ভুয়ো অফিসার গ্রেফতার করা সম্ভব।’’

যদিও বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নদিয়া জেলার তৃণমূল মুখপাত্র বাণী রায় বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে দাবি জানাব, যাতে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার এ ধরনের ভুয়ো আধিকারিককে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement