মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতিফা বেওয়া।—নিজস্ব চিত্র ।
দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন এক বৃদ্ধা। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের উদয়চাঁদপুরে। লতিফা বেওয়া নামে ওই বৃদ্ধাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুন খুন উদয়চাঁদপুরে আলমগীর হোসেন (৪০) ও সামসুল শেখ (৫০) দু’জন খুন হন। তাঁদের মধ্যে আলমগীর লতিফা বেওয়ার ছেলে। সেই ঘটনার পরে গ্রামে পুলিশ চৌকিও বসানো হয়। কিন্তু তারপরেও ওই বৃদ্ধাকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে লতিফা জানান, শুক্রবার বিকেলের নমাজ সেরে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সেই সময় জানালা দিয়ে পর পর ৪টে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। একটা গুলি তাঁর ডান পায়ে লাগে। লতিফার অভিযোগ, ‘‘কযেক বছররে মধ্যে আলমগীর- সহ আমার ৩ ছেলেকে খুন করেছে সামসুলদের লোকজন। আমাকেও ওরাই খুন করার উদ্দেশে গুলি করে। ওরা সবাই তৃণমূলের মদতে এ সব করছে।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক দাসও বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। লতিফা বেওয়ারা কংগ্রেসের সমর্থক। পুলিশ তাই নিষ্ক্রিয়।’’ তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘বৈষয়িক বিষয় নিয়ে উদয়চাঁদপুরের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ১২-১৪ বছর ধরে খুনোখুনি লেগে রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোন সম্পর্ক নেই।’’
এলাকার শান্তি ফেরানোর দাবিতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শনিবার বহরমপুর থানার আইসি অরুনাভ দাসের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। অরুনাভবাবু বলেন, ‘‘আমরা গুরুত্ব দিয়ে ওই গ্রামের বিষয়টি দেখছি।’’