Coronavirus

রোজ গড়ে একশো পরিযায়ী শ্রমিকের পরীক্ষা হচ্ছে

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারএই হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

জীবন সরকার

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০২:৩০
Share:

ফরাক্কা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

মুর্শিদাবাদ জেলার শেষ প্রান্ত ফরাক্কা। এখানে গঙ্গার উপর ব্যারেজের পরেই মালদা জেলা। ফরাক্কার বেনিয়াগ্রামে ফরাক্কা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিষেবা দেয় ফরাক্কা ব্যারাজের কর্মীদের ছাড়াও বেওয়া, তিলডাঙা, জাফরগঞ্জ, বল্লালপুর, আমতলা, ইমাম নগরের মানুষকে।

Advertisement

প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব থাকলেও করোনাভাইরাসে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার কোনও ত্রুটি নেই ফরাক্কা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। চিকিৎসা করে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এই হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা চলছে। এখানে তিন জন চিকিৎসক ছিল, পরে আর এক জন চিকিৎসক আসেন। মোট চার জন চিকিৎসক, বারো জন নার্স ও অন্য কর্মী আট জন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার কারণে রোগীর সংখ্যা সামান্য কমলেও প্রসূতির সংখ্যা আগের মতোই আছে। ২৪ ঘণ্টা এক জন চিকিৎসক পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। সামান্য পরিমাণ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে পরিষেবায় এখানকার মানুষ খুশি।

Advertisement

জাফরগঞ্জের বিউটি রায়, বল্লালপুরের নজরুল ইসলাম জানান, ফরাক্কা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব থাকলেও চিকিৎসার কোন অবহেলা হয় না। চিকিৎসা না পেয়ে কেউ ফিরে গিয়েছে এমনটা হয় না।

ফরাক্কা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ সজল পণ্ডিত বলেন, ‘‘আমরা মানুষের পরিষেবা আগে যে ভাবে দিয়েছি, করোনার সময়ও একই পরিষেবা দিয়ে আসছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতিদিন গড়ে একশো থেকে দেড়শো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হচ্ছে। চার জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা একযোগে কাজ করছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement