—প্রতীকী চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত। আর তার জেরে নদিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার আমন চাষিদের উদ্বেগ বাড়ছে।
আবহাওয়া দফতর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ এবং পাশ্ববর্তী উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ‘মিগজাউম’ নামে চিহ্নিত ওই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। যার জেরে সোমবার সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আকাশ মেঘলা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বিভিন্ন জেলায়।
বৃষ্টির এই সম্ভাবনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে জেলার কৃষক, বিশেষ করে ধানচাষিদের। কেননা এখন আমন ধান পাকার সময়। সব ধান এখনও কাটা হয়নি। যদিও আবহওয়াবিদ থেকে সরকারি কৃষিকর্তা সকলেই জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে মিগজাউমের তেমন প্রভাব পড়বে না বলে। নদিয়ার মুখ্য কৃষি আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস বলেন, “এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই। আমন ধান নিয়ে চাষিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। দু’একটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা আমনের পক্ষে ক্ষতিকর হবে না বলেই অনুমান।”
জেলার ধানচাষিরা জানাচ্ছেন, ৭০ শতাংশ জমিতে এখন পাকা ধান রয়েছে। বৃষ্টি হলে ক্ষতি হবে। বড় আন্দুলিয়ার কৃষক রবীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, “আমন তৈরি হয়ে মাঠে শুধু কাটার অপেক্ষায়। এই সময় বৃষ্টি হলে সব ধান শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ক্ষতি হবে সরষে চাষেরও। শীতকালীন ফসল হিসাবে মাঠে যা কিছু আছে সবই বৃষ্টিতে নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে ফুলকপি।”
এই পরিস্থিতিতে জেলা জুড়ে তৎপরতা বেড়েছে ধান কাটার। সরকার কৃষিকর্তা পার্থ ঘোষ আশ্বস্ত করেছেন, ‘‘এই নিম্নচাপ তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবে যদি বৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমে জমি থেকে জমা জল বের করে দিতে হবে। তারপর ছত্রাক নাশক ছড়িয়ে দিতে হবে জমিতে।”