প্রতীকী ছবি।
রক্তাক্ত অবস্থায় ‘বিবাহিত প্রেমিকা’র দেহ উদ্ধার হয় রাস্তার পাশ থেকে। তার ঠিক ১২ ঘণ্টা পর ‘প্রেমিকে’র দেহ উদ্ধার হল গ্রামের অদূরে একটি গাছ থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কে চিড় ধরায় প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ‘প্রেমিক’।
রবিবার নদিয়ার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া সিংগা-সোনাকুড় এলাকায় রাস্তার ধার থেকে এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে মাঠের মাঝে একটি নিমগাছে এক ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন এক চাষি। স্থানীয়েরা হরিণঘাটা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে উদ্ধার করে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে দেহ ময়নাতন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিশু দাস। তাঁর সঙ্গে হরিণঘাটার নগরউখড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদা সর্দার পাড়ার অসীমা সিংহ (২৬)-এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, বিশুকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন অসীমা। পুলিশ মনে করছে, তার জেরেই অসীমাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বিশু। তবে এই পিছনে জোড়া খুনের পিছনে অন্য কেউ জড়িত কি না তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।