Fraud

Scam: কয়েক কোটির প্রতারণা ব্যাঙ্কে, নালিশ থানায়

গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মী, মদনপুরের আলইপুর এলাকার বাসিন্দা এক যুবক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২১ ০৬:৪৩
Share:

গ্রাহকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক কর্মীর বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যাঙ্কের কিছু গ্রাহক। অভিযোগে নাম জড়িয়েছে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারেরও। বুধবার ব্যাঙ্কের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়ে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গ্রাহকেরা।

Advertisement

গ্রাহকদের অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্কের কর্মী, মদনপুরের আলইপুর এলাকার বাসিন্দা এক যুবক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ব্যাঙ্কের স্ট্যাম্প দিয়ে টাকার রসিদ, এটিএম কার্ড, চেকবই সবই দিয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, অ্যাকাউন্ট চালু হয়নি। ব্যাঙ্কের একাধিক কর্মী জড়িত থাকতে পারেন বলে তাঁদের সন্দেহ।

ওই গ্রাহকদের অন্যতম, জাগুলির রজত মজুমদারের দাবি, “প্রায়োরিটি অ্যাকাউন্ট খুলতে আমি ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সেই অ্যাকাউন্ট চালুই হয়নি। আকবর শেখের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা নিয়েছে। জাহির হোসেন মণ্ডল ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, অ্যাকাউন্টে মাত্র ১০ হাজার টাকা পড়ে আছে।”

Advertisement

গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে তাঁদের সব নথিপত্রের প্রতিলিপি করে রেখেছিল ওই কর্মী। সে সব দেখিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে কারও কারও নামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও বার করেছে। যাঁর অ্যাকাউন্ট, তিনি কিছুই জানতে পারেননি। পরে যখন ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ফোন বা মাসিক কিস্তির রসিদ এসেছে, গ্রাহক হতবাক। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের নামে ক্রেডিট কার্ড বা নানা রকম বিমা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের থেকে কৌশলে চেক নিয়ে ওই কর্মী অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও তুলে নিয়েছে। এ রকম ৫০-৬০ জন গ্রাহকের প্রায় চার-পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে লিখিত ভাবে থানায় জানানো হয়েছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ক’দিন ধরে তাঁরা ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে জানিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ লিখিত ভাবেও জানান। তিনি আশ্বাস দেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না দেখে শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে তাঁরা ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্মীর ফোন দিনভর বন্ধ ছিল। তিনি বাড়িতেও নেই বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার প্রথমে ফোন ধরে জানান, পরে কথা বলবেন। কিন্তু পরে আর ফোনই ধরেননি।

তবে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতারণার পরিমাণ এক কোটি টাকার কম। অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক অঙ্ক জানা যাবে না। এতে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement