প্রতীকী ছবি।
সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি পরিচালিত বেথুয়াডহরি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্থানীয় নাকাশিপাড়া থানা ও ব্লক অফিসে ওই অভিযোগ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে একটি সরকারি জায়গা পড়ে রয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণের পরে ওই জায়গা স্থানীয় কিছু লোকজন দখলের চেষ্টাও করে। পরে তৃণমূল পরিচালিত নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওই জায়গায় একটি বোর্ড টাঙানো হয়।
পঞ্চায়েতের তরফে অভিযোগ, হঠাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কর্মী বাঁশ ও দলের ব্যানার লাগিয়ে ওই সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করে। কয়েক দিন পরেই বেথুয়াডহরি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আর একটা ব্যনার লাগানো হয় যাতে লেখা আছে ‘জনসাধারণের অত্যাবশ্যকীয় দাবি তথা সুবিধার্থে এই সরকারি জমিতে সুলভ শৌচালয় নির্মিত হবে।’
ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের পর বেথুয়াডহরি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোনও শৌচালয় হয়নি। অনেকেই খোলা জায়গায় শৌচকর্ম সারছেন। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পঞ্চদশ ফিনান্স কমিশনের টাকায় শৌচাগার তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগেই তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নাকাশিপাড়া ব্লক সভাপতি অশোক দত্ত পদচ্যুত হওয়ার পরে তাঁর দখলে থাকা দীর্ঘদিনের দফতরে তালা ঝোলে। এর পর দলের তরফে দলীয় দফতরের জন্য ব্যবসায়ী সমিতির ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্যই ওই সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল।
বেথুয়াডহরি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ ঘোষ বলেন, “সরকারি জায়গা মানুষের সুবিধার জন্য ব্যবহার হবে। আমরা তা কাউকে দখল করতে দেব না। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শৌচালয় নির্মাণের প্রকল্প করা হয়েছ।’
নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি জমি সংক্রান্ত, তাই ভূমি দফতরকে দেখতে বলা হয়েছে।”
অশোক দত্তকে সরিয়ে যাঁকে তৃণমূলের নাকাশিপাড়া ব্লক সভাপতি করা হয়েছে, সেই কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায় যথারীতি ফোন ধরেননি। তবে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের যদি শৌচালয়ের পরিকল্পনা থাকে, খুবই ভাল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিধায়ক তহবিল থেকে শৌচালয় নির্মাণের স্কিম তৈরি হয়েছে। শুধু অনুমতির অপেক্ষা। এই ছোট বিষয় নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।”