আহত গাড়ি চালক। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মেরে এক গাড়ি চালকের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। চালকের মাথায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।
সোমবার সকালে কৃষ্ণনগরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে অন্য গাডির চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পদস্থ পুলিশকর্তারা এসে অভিযুক্ত ট্র্যাফিক কর্মীকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত ওই গাড়ি চালকের নাম অমিত সরকার। বাড়ি ভীমপুরের কুলগাছি। কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি রেখে তিনি ভাড়া খাটেন। এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে স্ট্যান্ডে আসছিলেন। সেই সময়ে বাসস্ট্যান্ড মোড়েই তাকে দাঁড় করিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অমিতের কথায়, “আমি স্ট্যান্ডে যাব বলে ডান দিকে ঘুরছিলাম। ওই ট্র্যাফিক পুলিশ হাত দেখিয়ে আমাকে থামতে বলেন। আমি থেমে যাই। তার পর আবার উনি হাত দেখিয়ে যেতে বলেন। আমি হাত দুয়েক যাওয়ার পরেই তিনি আবার থামতে বললে আমি থামি।” অমিতের অভিযোগ, “তখন গোলাম নামে ওই ট্র্যাফিক পুলিশ এসে আমায় বলে, ডান দিকে যাওয়া যাবে না। আমি কারণ জানতে চাওয়ায় জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে জামার কলার চেপে ধরে গালিগালাজ করতে থাকে।”
ট্র্যাপিক পুলিশ জামার কলার ধরায় অমিত প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার কথায় রেগে উঠে ওই ট্র্যাফিক পুলিশের ওই কর্মী আমার গালে দুটো চড় কষায়। তার পর হাতে ধরা কথা বলার যন্ত্র (ম্যানপ্যাক) দিয়ে মাথায় মারে।” অমিতের মাথা ফেটে গাল বেয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তা দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। বিপদ বুঝে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীটি সরে পড়ে।
এর পরই শুরু হয় পথ অবরোধ। বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। গাড়ি চালকের অভিযোগ, শুধু এ দিনই নয়, এর আগেও সামান্য কারণে তাঁদের মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সে সব সহ্য করে নিলেও এ দিন রক্ত ঝরতে দেখে তাঁরা আর স্থির থাকতে পারেননি। অমিতকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মাথায় তিনটে সেলাই দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার জাফর আজমল কিদোয়াই বলেন, “ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”