—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
জঙ্গিপুর লোকসভা আসন নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে সব দলই। প্রার্থী বাছাই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী খলিলুর রহমান বিড়ি মালিক, তাঁরই এ বারও দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জোরালো। অন্য দলগুলিও বিড়ি মালিক প্রার্তীই খুঁজছে বলে সূত্রের খবর, কারণ, লোকসবা ভোটে অন্তত ৮-১০ কোটি টাকা খরচ হয়, সেই টাকা বিড়ি মালিক হলে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু খলিলুর ছাড়া অন্য বিড়ি মালিকেরা এ বার ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না বলেই প্রাথমিক ভাবে খবর। খলিলুর অবশ্য বলেন, ‘‘দল যা বলবে তাই হবে। দলের কথা অমান্য করি না।’’
এই পরিস্থিতিতে পদ্ম শিবির চমক দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। দিল্লির এক প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রীকে জঙ্গিপুরে প্রার্থী করার আভাস মিলেছে বিজেপি সূত্রে। তাদের গত বারের প্রার্থী মাফুজা খাতুনও ছিল চমক।
কংগ্রেস সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল শমসেরগঞ্জের বিড়ি মালিক বাইরন বিশ্বাসকে। তিন মাসের মধ্যেই ভোটে জিতে তিনি তৃণমূলে ভিড়েছেন। তবু ২০২৪ সালের লোকসভাতেও কংগ্রেসের নজর রয়েছে কোনও বিড়ি মালিকই। কিন্তু দলের অন্দরের খবর, সে ভাবে কাউকেই এখনও রাজি করাতে পারেনি তারা।
কংগ্রেস ঘরানার এক বিড়ি মালিকের কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটে জিততে যে ধরনের সাংগঠনিক শক্তি লাগে এই মুহূর্তে জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের তা নেই। তা ছাড়া তৃণমূলের প্রার্থী এ বারেও খলিলুর রহমান। তাই প্রস্তাব এলেও লোকসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী হতে রাজি হচ্ছেন না কোনও বিড়ি শিল্পপতিই।’’
তবে কংগ্রেসের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন, ‘‘ভোট ঘোষণা হোক, দেখবেন প্রার্থী হতে লাইন পড়েছে কংগ্রেসের অফিসে। কিন্তু বাইরনকে প্রার্থী করে যে ভুল করেছে কংগ্রেস, তার থেকে দল শিক্ষা নেবে এ বিশ্বাস রয়েছে। প্রার্থী করতে হবে মাঠে থাকা নেতাকে।’’