মহালয়ার আগে রেডিয়ো সারাতে ব্যস্ত আইনুল। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
বহরমপুর শহরের গোরাবাজার নিমতলা অঞ্চলের আইনুল হোদা। সকাল থেকে রাত, রাত থেকে সকাল কীভাবে হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না। সাইকেলে বা হেঁটে দোকানে আসার আগে রাস্তায় কেউ ডাকলে তাকে উত্তর দিচ্ছেন, “এখন একটু ব্যস্ত, সামনে মহালয়া।” দিন রাতে খাবারের সময় ঠিক থাকছে না। বাড়ি ফিরছেন রাত করে। তাতে গিন্নি রুষ্ট। কিন্তু আইনুল বলছেন, “এই তো সময়। আর কটা দিন।”
কোভিড অতিমারি কাল পেরিয়ে ব্যবসা একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু স্যাটেলাইট যুগে, মোবাইলের ফাইভ জি ফেলে কেউ রেডিয়ো শুনছেন না। তাই রেডিয়োর বাজার মন্দা। কিন্তু দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠান শোনার জন্য রেডিয়োর চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। বাড়িতে ফেলে রাখা রেডিয়ো মেরামতির প্রয়োজনে ছুটে আসেন আইনুল হোদার কাছে। আইনুলের কথায়, “গত ৩৫ বছর ধরে রেডিয়ো মেরামতির সঙ্গে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিকাল সামগ্রীর সারাই করি নিজের দোকানে। মহালয়ার আগে রেডিয়ো মেরামতির বরাত মেলে অনেক। এ বছর প্রায় ৬০টা রেডিয়ো মেরামত করেছি। আরও বরাত আসছে।”
আইনুল বলেন, ‘‘আমি আমার স্ত্রী মহালয়া শুনি।’’ আইনুলের স্ত্রী রেখা খাতুন বলেন, “মহালয়ার আগে আমাকেও অনেকে বলেন স্বামীকে বলে রেডিয়ো সারিয়ে দিতে।’’