মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভে বুধবার উত্তাল হল নবদ্বীপ পুরসভা চত্বর। ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ি, পুরসভার কর্মীদের কাজে ঢুকতে বাধা দেওয়া, বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠি হাতে পুলিশের তেড়ে যাওয়া— তার জেরে এক প্রবীণ বাম ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সহ নয় বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার, সব ঘটনার সাক্ষী রইল নবদ্বীপ।
বুধবার ১ জুলাই থেকে নবদ্বীপ শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্ব পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। পুরসভার নিজস্ব পরিষেবার পাশাপাশি সেই সংস্থা দিনভর শহর পরিষ্কারের কাজ করবে। এই বেসরকারি পরিষেবা চালুর হওয়ার দিন পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। অন্য কর্মীদেরও কাজে যোগ দিতে বাধা দেন। পুরসভার সামনে তাঁরা বসে পড়েন। তাঁদের সরাতে গেলে তাঁরা পাল্টা ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। তাতে কয়েক জন কর্মী জখম হন। ইট লাগে পুলিশের গায়েও। এরপরই পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। নবদ্বীপের পুরপ্রধান তৃণমূলের বিমানকৃষ্ণ সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। বিমানবাবু বলেন, “নতুন পদ্ধতিতে জঞ্জাল সাফাই শুরু করার দিনে এই ঘটনা বিরোধীদের চক্রান্ত। গত মাসেই অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে।’’
পুরপ্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রবীণ বাম ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মানবেন্দ্র দত্ত সহ নয় জনকে গ্রেফতার করেছে। মানবেন্দ্রবাবু পুরভোটে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে জড়ানো হয়েছে মানবেন্দ্র দত্তকে। নবদ্বীপের সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ বাগচি বলেন, “এ দিন মানবেন্দ্রবাবুকে ডেকে আনা হয়। তিনি আসতেই তৃণমূলের লোকেরা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতে তাঁর মাথা ফাটে। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করে।”
ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে তৃণমূলের পুর কর্মচারী সমিতির তরফে একটি ধিক্কার মিছিল বের হয়। সিপিএম-বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে।