প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশীর মারে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম, মিনি বিবি(৫২)। বাড়ি চাপড়া থানার পুখুরিয়া এলাকায়। তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁর অন্তঃসত্বা বউমাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণীকে গুরুতর জখম আবস্থায় কৃষ্ণনগরের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মিনি বিবির ছোট ছেলে রাহুল শেখ মুম্বইয়ের হোটেলে কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই এক তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মাস সাতেক আগে ওই তরুণীর পরিবার তাঁকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। এর কিছু দিন পর বাড়ি ফিরে আসেন রাহুল। মেয়েটির পরিবারের দাবি, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও রাহুল মেয়েটির সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। এ কথা মেয়েটির শ্বশুরবাড়ির লোক জন জানতে পারেন। তা নিয়ে অশান্তিও হয়। মেয়েটির বাপের বাড়ির লোকেরা রাহুলকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণ করেন। অভিযোগ, রাহুল তার পরও কথা শোনেননি এবং যোগাযোগ রাখছিলেন।
রবিবার সন্ধ্যায় ওই মেয়েটির পরিবারের লোক জন রাহুলের বাড়ি এসে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাতে বাধা দিতে চান তাঁর মা মিমি বিবি। তখন তাঁকেও মারা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তা দেখে শ্বাশুড়িকে বাঁচাতে এলে তাঁর বৌমা নাজমা বিবিকেও মারা হয় বলে অভিযোগ।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে শাশুড়ি ও বৌমাকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা মিনি বিবিকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় নাজমা বিবিকে কৃষ্ণনগরের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার মৃত মিনি বিবির স্বামী ইয়ার আলি চাপড়া থানায় নিয়ামত মিস্ত্রি, বদর নেরা-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিশ এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।