প্রতীকী ছবি।
পণ না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে শ্বাসরোধ করে মেরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভরতপুরের চাঁদপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম তহমিনা বিবি (১৮)। ওই ঘটনার পর তরুণীর বাবা রহিম শেখ পুলিশের কাছে ওই তরুণীর স্বামী ইদ মহম্মদ, দেওর নুর মহম্মদ ও শাশুড়ি রাজিলা বেওয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃতার শরীর দগ্ধ হলেও ঘরের আসবাব পোড়েনি। তাই প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রথমে তহমিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর আত্মহত্যার গল্প সাজাতে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেক গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী ইদ মহম্মদের সঙ্গে তহমিনার ভালবেসে বিয়ে হয়। অভিযোগ, ওই বিয়েতে কোনও পণ পায়নি শ্বশুরবাড়ি লোকজন। তাই গ্রামে বাপের বাড়ি হলেও যেতে দেওয়া হত না তহমিনাকে। শুধু তাই নয়, বাপের বাড়ি থেকে নগদ দু’লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না আনার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হত। কিন্তু তহমিনার বাবা পেশায় দিনমজুর রহিম শেখ ওই টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তারপর থেকেই তহমিনার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়। সম্প্রতি তহমিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। নিজেই তিনি তা বাপের বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরে ইদ। সে-ই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে মৃতার দেওর নুর মহম্মদ তহমিনার দেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দেয়। তারপর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। তরুণীর বাবা রহিম শেখ বলেন, “আমি দিনমজুর মানুষ। পণের টাকা দিতে পারিনি। তাই মেয়েকে ওরা খুন করেছে।’’