বিদেশে গেল কারা, হিসেব নেই প্রশাসনের

টানাপড়েনের দিন গুজরানে এক টুকরো স্বপ্নের মতো উড়ে আসে আরব-দেশের হাতছানি। মোটা টাকা, গাঁয়ের বাড়িতে অচ্ছে দিন ফেরানোর সুবাসে ডানা ভাসিয়ে ওঁরা পাড়ি দেন মরু প্রান্তরে। তার পরে? খোঁজ নিল আনন্দবাজারটানাপড়েনের দিন গুজরানে এক টুকরো স্বপ্নের মতো উড়ে আসে আরব-দেশের হাতছানি। মোটা টাকা, গাঁয়ের বাড়িতে অচ্ছে দিন ফেরানোর সুবাসে ডানা ভাসিয়ে ওঁরা পাড়ি দেন মরু প্রান্তরে। তার পরে? খোঁজ নিল আনন্দবাজার

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০১:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছর দেড়েক আগে নদিয়ার পলাশিপাড়ার মুর্শিদ হালসানা গ্রামের জনা দশেকের সঙ্গে স্থানীয় এক এজেন্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের চুক্তিমত সংস্থায় কাজ দেওয়া হয়নি। বেতনও ঠিকমত দেওয়া হচ্ছিল না। মুখ খুললেই অত্যাচারের হুমকি দেওয়া হত। কার মাধ্যমে তাঁরা কোন কোম্পানিতে কাজে গিয়েছিলেন তা কি প্রশাসন জানতো? সূত্রের খবর প্রশাসনের কাছে তাঁদের বিষয়ে কোনও তথ্য ছিল না। সমস্যায় পড়ে তাঁদের পরিবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেই পুরো ঘটনা জানা যায়। শেষ পর্যন্ত নদিয়া জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় মাস ছয়েক আগে তাঁরা ঘরে ফিরেছেন।

Advertisement

আবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাদিখাঁরদিয়াড়ের বুলবুল ইসলাম বছর দশেক থেকে সৌদি আরবে কাজে গিয়েছেন। তিনি কার মাধ্যমে কোন কোম্পানিতে কাজে গিয়েছেন তাও জানত না প্রশাসন। স্থানীয়রা বলছেন, বিদেশে কোন এজেন্টের মাধ্যমে, কোন কোম্পানিতে কাজে যাচ্ছেন তার ওপরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাকলে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ডোমকলের ইনামুল হক গত চার বছর থেকে সৌদি আরবে আছেন। সেখানে একটি কোম্পানিতে তিনি কম্পিউটার অপারেটর। তিনি বলছেন, “ ভিসা পাসপোর্টের সময় যা তথ্য দেওয়ার দিয়েছি। এর পরে আলাদা করে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর কিছু নিয়ম নেই। নিয়ম থাকলে নিশ্চয় জানিয়ে আসতাম। সূত্রের খবর কেরল থেকে যারা বিদেশে কাজে যান তাঁদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য সে রাজ্যের সরকার ‘ডিপারমেন্ট অব নন রেসিডেন্ট কেরালাইটস অ্যাফেয়ার’ (নরকা) নামে একটি দফতর খুলেছে। যারা বিদেশে কাজে যান সেখানে তাঁদের নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা আছে। একই রকমভাবে এ রাজ্যে হলে বিদেশে কাজে যাওয়া লোকজনের ওপর অনেকটা নজরদারি করা যাবে বলে অনেকে মনে করছেন।

নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলছেন, “কেউ সমস্যায় পড়ে আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নিই। আমাদের জেলার যারা বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে সমস্যা সমাধানে রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হবে।” নদিয়ার পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলছেন, “দেশে কাজে যাওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের (ক্লিয়ারেন্স) অনুমোদন লাগে। সেক্ষেত্রের আমরা তথ্য যাচাই করি। তবে আরও নজরদারি কিভাবে বাড়ানো যায় দেখা হচ্ছে।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারও বলছেন, “বিদেশে যারা কাজে যান তাঁদের বিষয়ে তথ্য বিদেশমন্ত্রকের কাছে থাকে। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ এলেই প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিই।” (চলবে)

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement