গ্রুপ ডি সামলে ফার্স্ট ক্লাস প্রশাসনের

শঙ্কা ছিল, বিড়ম্বনার ভয় পেয়েছিলেন অনেকে, প্রশাসনের তাবড় কর্তাদের অনেকেই বিড় বিড় করেছিলেন, ‘‘গন্ডগোল না বাধে!’’ লক্ষাধিক গ্রুপ ডি পরীক্ষার্থীর ভিড় শেষতক নির্বিঘ্নেই সামলে দিয়ে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ দুই জেলা প্রশাসনই অবশ্য প্রথম বিভাগেই উতরে গেল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

এ-বার-ফেরা: পরীক্ষা শেষ। কৃষ্ণনগর থেকে ঘরমুখো গ্রুপ-ডি পরীক্ষার্থীরা। শনিবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

শঙ্কা ছিল, বিড়ম্বনার ভয় পেয়েছিলেন অনেকে, প্রশাসনের তাবড় কর্তাদের অনেকেই বিড় বিড় করেছিলেন, ‘‘গন্ডগোল না বাধে!’’

Advertisement

লক্ষাধিক গ্রুপ ডি পরীক্ষার্থীর ভিড় শেষতক নির্বিঘ্নেই সামলে দিয়ে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ দুই জেলা প্রশাসনই অবশ্য প্রথম বিভাগেই উতরে গেল।

যা দেশে নদিয়ার এক শীর্ষ কর্তা বলছেন, ‘‘বাঁচলাম!’’ আর মুর্শিদাবাদের এক পুলিশ কর্তা বলছেন, ‘‘অনেক দিন পরে আজ রাতে ঘুম হবে।’’ শনিবার গ্রুপ ডি-র পরীক্ষায় রাজ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ পরীক্ষার্তীর অনেকেই এসেছিলেন দুই জেলার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে।

Advertisement

দূরের জেলাগুলির পাশাপাশি তাঁদের অনেকেই এসেছিলেন দু’রাত্তির ট্রেন যাত্রা করে ভিন রাজ্য থেকেও। নদিয়ায় ২৯১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় এক লক্ষ ৫৭ হাজার সাতশো পরীক্ষার্থী এ দিন ওই পরীক্ষা দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদে ৩০২টি কেন্দ্রে দিয়েছে এক লক্ষ ৪৩ হাজার পরীক্ষার্থী।

এ দিন সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায়, মোড়ে স্টেশনে, পুলিশ আর পরীক্ষার্থী প্রায় মিশে গিয়েছিল। তবে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড ও মধুপুরে কিছুটা যানজট হয়েছিল সকাল থেকে। পরে সামলে দেয় পুলিশ। পরীক্ষার্থীদের যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য এ দিন দুই জেলাতেই রাস্তায় নেমেছিলেন বাসমালিক সমিতির কর্তারাও। কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে যেমন অফিসের সামনে চেয়ার পেতে বসে ছিলেন বাসমালিকরা। চলে আসেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারাও। এরই মধ্যে খবর আসে কৃষ্ণনগরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পিডব্লিউডি মোড়ে ভিড় করে আছেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। তার যাবেন কালীগঞ্জ। কিন্তু বাসে প্রচন্ড ভিড় থাকায় কারা উঠতে পারছেন না। প্রশাসনের কাছে খবর পেয়ে বাস মালিকরা পাঠিয়ে দেন ফাঁকা বাস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসে বাসে ভিড় উপচে পড়তে থাকে। বাধ্য হয়েই অনেক পরীক্ষার্থী বাসের মাথায় উঠে যান। নদিয়া জেলা বাসমালিক সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত বলছেন, “এ দিন কিছুই করার ছিল না। কারণ ছাদে উঠতে না দিলে পরীক্ষাকেন্দ্রই পৌঁছতেই পারত না বহু পরীক্ষার্থী।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement