ওম বিড়লার চিঠি অধীর চৌধুরীর। —ফাইল চিত্র।
এ রাজ্যের পুরভোটের আঁচ পৌঁছল লোকসভাতেও। দলের হয়ে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের হাতে ঘেরাও এবং হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকারের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি। যদিও অধীরের এই পদক্ষেপকে ‘নাটক’ বলেই মনে করছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, বহরমপুরে নিজের গড়েই পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে অধীরের, তাই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি।
পুরভোটের দিন অর্থাৎ গত রবিবার নিজের কেন্দ্র বহরমপুরেই ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন অধীর। পর দিন সোমবারও একই ছবি দেখা যায়। তাঁকে ঘিরে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলাকর্মীরা। বহরমপুরে অধীরকে কেন্দ্র করে এমন দৃশ্য বেনজির। এর প্রেক্ষিতেই সোমবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠান অধীর। সেখানে তিনি লেখেন, ‘হঠাৎ কেউ ফোন করে সাহায্য চাইলে এক জন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার কর্তব্য সেখানে যাওয়া, তাঁদের সমস্যার কথা শোনা এবং তাঁদের সাহায্য করা।’ অধীরের অভিযোগ, পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূলের ‘গুন্ডারা’। তাঁকে ঘেরাও করা হয়েছে এবং হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর গতিবিধি সীমাবদ্ধ বলেও অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের ওই কংগ্রেস সাংসদ। এ জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন তিনি। এ নিয়ে লোকসভার স্পিকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অধীর।
অধীরের এ হেন পদক্ষেপের কড়া সমলোচনা করেছে তৃণমূল। দলের মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘দিল্লিতে থেকে থেকে বহরমপুরের সঙ্গে অধীরবাবুর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। বহরমপুর কথা মুর্শিদাবাদে রক্তপাতহীন নির্বাচন হল। সেখানে আমাদের জয় নিশ্চিত। সেখানে হার জেনেই এখন এই সব চিঠি পাঠাচ্ছেন লোকসভার স্পিকারকে।’’