অধীর রঞ্জন চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনের প্রচারে ফিরে এল এনআরসি বিতর্ক।
রবিবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এনআরসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস পথে নেমে কোনও আন্দোলন করেনি। গুজরাতে এনআরসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, অসমে এনআরসিতে বাদ পড়েছে ১৭ লক্ষ জনের নাম। কিন্তু দুই রাজ্যেই বড় বিরোধী দল হয়েও কংগ্রেস কোনও প্রতিবাদ করেনি বলে দাবি করেন অভিষেক। সোমবার সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের উপরেই পাল্টা ‘দায়’ চাপালেন অধীর।
তিনি বলেন, “খোকাবাবু ক’দিনের বাচ্চা ছেলে। কে, কোথায়, কী বলছে, সব কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লোকসভায় যখন এনআরসি পাস হয়, তখন আমার নেতৃত্বে কংগ্রেস তার বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের ৯ জন লোকসভা সাংসদ ভোট না দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানও। চ্যালেঞ্জ করলে লোকসভার রেকর্ড থেকে সব তথ্য বের করে দেব। ৯ জন তৃণমূল সাংসদ সেদিন ভোট দেননি মোদীজির এই আইনের বিরুদ্ধে।”
যদিও অধীরের দাবি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানবলেন, “অধীরবাবু প্রবীণ সাংসদ। কিন্তু তিনি হয়তো জানেন না, সেদিন আমার জীবনে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। আমার দিদি সেদিন মারা যান। সেদিন আমি এবং আরেক সাংসদ আবু তাহের খান হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে লোকসভায় আমাদের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে দিদির মৃত্যুসংবাদ দিই। সুদীপবাবু আমাদের একদিনের জন্য লোকসভা থেকে ছুটি দেন। সুদীপবাবুর অনুমতি নিয়েই আমি সেদিন অনুপস্থিত থেকেছি। অন্য কোনও রাজনীতি ছিল না অনুপস্থিতির পিছনে। একটু খোঁজ নিলেই অধীরবাবুর ভ্রান্ত ধারণাদূর হবে।’’