ডোমকলে অধীর চৌধুরী।— নিজস্ব চিত্র।
ভোটে জেতা পুরসভা-জেলাপরিষদ হারিয়ে চেনা জমিতে নতুন ফসল বোনার গল্প শোনালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর সাজানো বাগানে ঘাসফুল ফুটেছে বলে তিনি মানেন না। বরং তৃণমূলকে গরুর সঙ্গে তুলনা করলেন অধীর। রবিবার ডোমকলের কর্মীসভায় এমন কথা বলেই পার্টির নেতা-কর্মীদের তাতালেন তিনি।
প্রদেশ সভাপতির নিজের জেলা মুর্শিদাবাদের সব পুরসভা দখল করে শনিবারই বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। রবিবাসরীয় কর্মীসভায় তাই অধীর দুষ্টু গরুর গল্প শোনালেন।
অধীর জানান, ছোট বেলায় তাঁর বাড়ি লাগোয়া একটি সব্জি বাগান ছিল। সেখানে নানান সব্জিও ফলত। নিজে খেতেন প্রতিবেশীদেরও দিতেন। একদিন সেই বাগানের দুবর্ল বেড়াটা ভেঙে গরু ঢুকে খেয়ে নিল সব গাছ। তখন তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন গরু শুধু গাছই খেয়েছে। মাটি তো খেতে পারেনি। চারা বুনলে এই মাটিতেই ফেও ফসল ফলবে।
বলাবাহুল্য, তাঁর এমন গল্পে হাততালিও জুটল বিস্তর। এদিনের কর্মীসভায় অধীর ছাড়াও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খাঁন, বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী রানিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম এবং লালবাগের বিধায়ক তথা ডোমকল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি শিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মীদের চাঙ্গা করতে এদিন উপস্থিত কংগ্রেস বিধায়কেরা বারবার বলেন, ‘‘কথা দিচ্ছি, গরু-ছাগল-ঘোড়ার মত আমরা বিক্রি হব না।’’
এদিনের সভায় অধীর জানান, শনিবার বর্ধমানে এক সভায় গিয়ে কর্মীদের কাছ থেকে তাঁকে শুনতে হয়েছে, মুর্শিদাবাদ নিয়ে গর্ব করার দিন শেষ হল। তিনি বলেন, ‘‘আমারও শুনে কষ্ট হয়েছে। পিসি-ভাইপোর বাংলা আর বৃদ্ধ শাহজাহানের জেলায় এখন টাকা আর ভয় দেখিয়ে জন প্রতিনিধি লুঠ চলছে। প্রশাসন-পুলিশের কর্তারা শাসকের হয়ে দালালি করছেন।’’ এরপরই তাঁর হমকি, এমন দিন চিরকাল থাকবে না। কিছু গাছের পাতা ঝরে যায়, দেখে মনে হয় মরে গিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন পাতা গজায়। কংগ্রেসও জেলায় ফের মাথা তুলে দাঁড়াবে। কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তার আবেদন, ‘‘এবার কিন্তু বাগানের বেড়াটা মজবুত করতে হবে। যাতে বাইরে থেকে গরু এসে ফসল না খেতে পারে।’’