করিমপুরে অধীর।
বাইরের চাকচিক্যের দিকে নজর দিলেও সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ফেরাতে যে রাজ্য সরকার ব্যর্থ, সে অভিযোগ আগেও করেছিলেন তিনি। রবিবার দুপুরে করিমপুরে সেই সূত্র টেনেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শেষবেলায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির ‘জুলুম’—এর বিরোধীতা করছেন। আসলে সরকারের পরোক্ষ মদতেই তো হাসপাতালগুলির এই বাড়বা়ড়ন্ত।’’
হাসপাতালের পরিষেবা ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কারকে অধীর আগেই ‘ভূতের মুখে রামনাম’ বলে বিঁধেছিলেন। শনিবার ডোমকলে জানিয়েছিলেন, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা মিলছে না বলেই মানুষ বেসরকারি হাসপতালে মরিয়া হয়ে ছুঁটছেন। যার ফায়দা লুঠছে ওই সব হাসপতালালের চিকিৎসকদের একাংশ, যাঁরা অধীরের ভাষায় ডাকাত। এ দিন করিমপুরে টেট প্রসঙ্গেও রাজ্যকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। বলছেন, ‘‘টেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের নামে কেলেঙ্কারি হয়েছে। তাই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর ফলে একদিন শশীকলার পাশে ঠাঁই হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’ তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, আক্রমণের তালিকায় ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে কংগ্রেস ১৯৭১ সালে সেনা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। আর এখন প্রধানমন্ত্রী সামান্য একটা সার্জিকাল স্টাইক নিয়ে রাজনীতি করছেন।’’ স্থানীয় কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের একাংশ এ দিন অধীরের সভায় যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, শনিবার ডোমকলের সভায় প্রায় ৫০০ জন তৃণমূলকর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।