এক সময় মুক্তো চাষ হত। এখন বর্ষায় কচুরিপানার ডোবা আর গ্রীষ্মে জলশূন্য খটখটে নালা। সেই aপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ডাক দিলেন, ‘‘ভগবানগোলা থেকে ভাণ্ডারদহ বিল চলো!’’
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকায় ভাণ্ডারদহ বিল সংস্কারের দাবিতে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ওই অভিযান শুরু করব।’’
মুর্শিদাবাদ জেলার ৮টি থানা এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ওই বিল ব্রিটিশ আমলে ঢাকা যাতায়াতের অন্যতম জলপথ ছিল।
এক সময় ওই বিলে মুক্তো চাষ হত। বিল লাগোয়া প্রায় ২০০টি গ্রামের অর্থনীতি ও পরিবহণ ব্যবস্থা এবং পাড় লাগোয়া হাজার খানেক মৎস্যজীবীর রুটিরুজি নির্ভর করে ওই ভাণ্ডারদহের উপর।
অধীর বলেন, ‘‘সংস্কার করে বিপুল পরিমাণ ওই জলসম্পদের সঠিক ব্যবহার হলে জলপথ পরিবহণ, জমিতে জলসেচ, মৎস্যচাষ ও আর্সেনিকদূষণ মুক্ত জল-সহ বহুমুখি উপকার পাওয়া যাবে। এলাকার অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে।’’ পাশাপাশি ভৈরব ও পদ্মার মিলনস্থল খনন করে মজে যাওয়া উৎসমুখ খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।