‘দোস্তজি’ ছায়াছবির তিন খুদে। — নিজস্ব চিত্র।
বাজার করার থলেয় স্লেট, পেনসিল এবং ধারাপাত ভরে স্কুলে যাওয়া শুরু। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সেই তিন খুদের ঝুলিতে এখন এখন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। সাধারণ দর্শক থেকে ফিল্ম সমালোচক সকলেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছে ‘দোস্তজি’ ছায়াছবির তিন খুদের অভিনয়। ডোমকলের সেই তিন খুদে শিল্পীর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রঘুনাথগঞ্জের একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
‘দোস্তজি’ ছায়াছবিতে ‘পলাশ’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিল আরিফ শেখ। ‘সাফি’র চরিত্রে অভিনয় করেছিল আশিক শেখ। তারা ডোমকলের ভগীরথপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ওই ছায়াছবিতেই ‘জয়া’র চরিত্রে অভিনয় করেছিল হাসনুহানা। ডোমকলের ফতেপুরের বাসিন্দা হাসনুহানা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। রুপোলি পর্দায় এই খুদে অভিনেতাদের ঘরে ‘অন্ধকার’। তিন জনের বাবা পেশায় দিনমজুর। কখনও কাজ করেন নির্মাণ শ্রমিকের। কখনও বা অন্য কোনও কাজ। বুধবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিন জনের পড়াশোনার সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করে রঘুনাথগঞ্জের ওই স্কুলটি। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ভর্তির নথিও। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিন খুদেও।
ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে তিনটি পরিবার। আশিকের বাবা আখতারুল শেখ বলেন, ‘‘খাবার জোটে না ঠিকমতো। কিন্তু, আমি চাই ছেলে মানুষের মতো মানুষ হোক। নিজের পায়ে দাঁড়াক। পড়াশোনার মধ্য দিয়ে তাদের সেই সুযোগ এসে দেওয়ার জন্য আমি ভীষণ খুশি।’’ খুশির আলো তিন খুদের মুখেও।