শত্রুঘ্ন চৌধুরী মৃত্যুশোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা। —নিজস্ব চিত্র।
মাকে ‘কটূক্তি’ করায় প্রতিবেশীকে এলো়পাথাড়ি লাথি, ঘুষি মেরে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন তাঁর দিদিও। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে বহরমপুর থানার অযোধ্যানগর হরিদাসমাটি এলাকায় মৃতের নাম শত্রুঘ্ন চৌধুরী (৪২)। অভিযোগ, শত্রুঘ্নর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি লাথি, ঘুষি মেরেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল ওরফে সেন্টু। তাতেই মৃত্যু হয় শত্রুঘ্নর। ঘটনার পর থেকেই সেন্টু এবং তাঁর দিদি পলাতক।
দুই প্রতিবেশীর সামান্য ঝামেলার জেরে যে এমন চরম পরিণতি হবে, তা ধারণাও করতে পারেননি বহরমপুরের হরিদাসমাটি এলাকায় মানুষজন। স্থানীয়দের দাবি, সুকুমারদের সঙ্গে শত্রুঘ্নদের পুরনো বিবাদ রয়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির সামনের জমি থেকে জোর করে শাক তোলা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, সুকুমারের মা শাক তুলতে গেলে তাঁকে কটূক্তি করেন শত্রুঘ্ন। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে শত্রুঘ্নের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সুকুমার। শত্রুঘ্নর বুকে পা রেখে এলোপাথাড়ি লাথি, ঘুষি মারতে থাকেন তিনি। মারধরের জেরে চোট পেয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন শত্রুঘ্ন। আহত অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা শত্রুঘ্নকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত সুকুমার মণ্ডলের মাকে গ্রেফতার করে তারা। তবে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শত্রুঘ্নর এক আত্মীয় দময়ন্তী মাহাতো বলেন, ‘‘জোর করে শাক তুলতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে। বুকে পা দিয়ে শত্রুঘ্নকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে সেন্টু। সেন্টুর মা-ই ছেলেকে পালাতে সাহায্য করেছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।