Crime

যুবকের গলা-পেট কাটা দেহ উদ্ধার, অভিযুক্ত স্ত্রী

পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই যুবক পেশায় দিনমজুর। বর্তমানে ওড়িশার পুরীতে রিকশা চালক ও রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কাজ করতেন। ইদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৯
Share:

যুবকের দেহ উদ্ধার। — ফাইল চিত্র।

এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার কান্দি থানার মহলন্দি–তেঁতুলিয়া গ্রামের রাস্তা ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম আজমত শেখ (৩৮)। ওই যুবক বেলডাঙা থানার দেবকুণ্ড গ্রামের বাগান পাড়া এলাকার বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, “এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানাযায় ওই যুবক পেশায় দিনমজুর। বর্তমানে ওড়িশার পুরীতে রিকশা চালক ও রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কাজ করতেন। ইদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরেছিলেন। গত শনিবার ইদের দিন সন্ধ্যার পর বাড়িতে বসে কান্দি থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি আসার কথা বলে আসেন। পুলিশ জানতে পারে ওই দিন তেঁতুলিয়া গ্রামে তিনি আসেননি। ওই দিন লালবাগে ছিলেন। পরের দিন রবিবার দুপুর থেকে তেঁতুলিয়া গ্রামে ওই যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

পরে সোমবার সকালে ওই যুবককের দেহ পাওয়া যায় তেঁতুলিয়া থেকে মহলন্দি যাওয়ার রাস্তার ধারে। মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করার সঙ্গে ধারাল অস্ত্র দিয়ে যুবকের গলাকাটা ও শরীরের ডান দিকে পেটের কাছে ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। বেলডাঙা এলাকার যুবকের রক্তাক্ত দেহ এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে জানা যায় ওই যুবককের তেঁতুলিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি হওয়ার সঙ্গে মামারবাড়িও আছে।

Advertisement

মৃতের দাদা শুখচাঁদ শেখ যুবকের স্ত্রী রজিনা বিবি সহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে খুনের অভিযোগ জানায়।

দাদা শুখচাঁদ বলেন, “আমার ভাতৃবধূ দীর্ঘ দিন ধরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাপের বাড়িতেই ছিল। আমরা কয়েক বার আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে এলেও আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে আমার ভাইকে মারধর করা ছাড়াও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শেষমেশ সেটাই করলো। আমার ভাই তার স্ত্রীকে নিতে এসেছিল, আর সেই সুযোগে ভাইকে পরিকল্পিত ভাবেই খুন করলো। আমরা ওদের শাস্তি চাই।”

পুলিশ অবশ্য এখনও কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে গাঁজা খাওয়ার কলকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরে ওই যুবক প্রচণ্ড পরিমাণে গাঁজা খেত। একাধিকবার গাঁজা খাওয়ার অপরাধে বেলডাঙা থানায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ওই যুবক কোনও অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে কী কারণে ওই যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে সেটা এখনই স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। দেহটি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, “কী কারণে খুন হয়েছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবো বলেও মনে হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement